এই পৃথিবী মনে কী পড়ে,
মনে কী পড়ে তোর?
আমার সেই শৈশবের
সুন্দর সুন্দর ভোর।
যে দিন আমি বিনা কারণে
হাসতাম রাশি রাশি।
যে দিন আমি কাশের বনে
লুকিয়ে বাজাতাম বাঁশি।
মেঘের ভেলা ধরার জন্য
ছুটে যেতাম কত দূরে,
ব্যর্থ হয়ে নবীন পাতা তুলে
ফিরতাম আবার ঘরে।
মধুর খোঁজে পলাশ বনে
যেতাম বার বার।
তোর মনের ভিতর স্মৃতির ঘরে
আছে কী স্মৃতি তার?
দেখরে পৃথিবী তোর ছেলেটা
কেমন হয়েছে আজ,
বলছে সবাই আমি নাকি
মনুষ্যত্বের লাজ।
কি করেছি বল না আমি
কি করেছি বল,
দু-মুঠো খাবার জন্য
ভেঙ্গে ছিলাম কল।
ও বেটাদের অনেক আছে,
খায় তারা ভূরি ভূরি;
আমি শুধু কিছু বস্তা
করে ছিলাম চুরি।
না পৃথিবী খেতে পাইনি
দেখে ছিলাম শুধু,
বস্তার ভিতর হাত ঢুকিয়ে
ওমা এ যে মধু।
আমরা যাকে চাল ভাবতাম
ওটা আসলে প্লাস্টিক।
আসল চাল এখানে আছে
বুঝে ছিলাম সঠিক।
দেখতে দেখতে অবাক হয়ে
দাঁড়িয়ে রইলাম আমি,
পেছন থেকে কখন যেন
এলেন ভূ-স্বামী।
স্বামীর দল ধরে আমায়
মারল যে কত,
মারতে মারতে দিল গালি
আমায় শত শত।
অদ্ভুত এই জীবন খানা
কেমন করে মাপি,
তোর ছেলেটা হায়রে আজ
হয়ে গেছে পাপী।