প্রতিক্ষণেই আজ,নিজেকে আজ বড় একা মনে হয়।
নিঝুম রাতের পাখির মতো
নিস্তব্ধ নিঃশ্ব ঘুঙরে কান্নার কাণ্ডারী হয়ে গেছি।
চারি দিকটা মনে হয় শুধুই মরুভূমি।
আর মরুভূমির বালুকনার তপ্ত দগ্ধ বিষাদময় যাতনা,
মনে হয় আমাকে তিলে তিলে নিশ্বঃ করে দিচ্ছে।
ক্ষতবিক্ষত মেঘে ঢাকা জ্যোৎস্না
হৃদয় চাঁপা কান্নার ধনী।
পদ্মার কড়ালগ্রাসেরজনজীবনের মতো
আহাকারের কান্নার সাথের সাথী আমি নিরুপায়।
আজ নিজের পৃথিবী টাকে মনে হয় বড্ড একা,
মনে হয় মহা পৃথিবী টাই শূণ্যের উদ্যান।
আর সেই শূন্যের উদ্যানে আমি একা
নিশ্বঃ সিক্ত আমি দিশেহারা ভবিতব্য।
শ্রাবণের বারিধারায়, কাল বৈশাখের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিপাকে আমি দিশেহারা।
শুধুই চিন্তায় মগ্ন, এ কি জীবন? কোথায় সেই বালুকা বেলা?
কোথায় সেই দীঘির পাড়ে বকুল ফুলের সুতোয় গাঁথা রাশি রাশি মালা?
সকাল-বিকাল, জ্যোৎস্না রাতে, গোল্লা ছুট আর কানামাছি, দাড়িয়াবাঁধার খেলা?
সবই আজ স্বপ্নের বালুচর, ক থোক পাখির মতো নি শ্ব, সিক্ত,
পাথর চাপা কান্নায় আমি ভেসে চলেছি অজানা দিগন্তের খোঁজে।
আজ আমি কবিতা।
এক আগন্তুকের ব্যক্তি জীবনের সুনিপুণ হস্তের অঙ্কুরিত আমি কবিতা।
কবিতা চয়নে অন্তঃর্নিশি যাপনে তাহার সৃষ্টি কাব্যে আমি কবিতা
আমাকে তাহার চিত্ত চেতনায় বাঁধিয়াছে আজি চিরো বসন্ত বিলাসে।
আমি মনে হয় বুঝি? তাহার হৃদয় কুঞ্জবনে বাসর বাধিবার স্বপ্নে উন্মত্ত।
কাব্য বিহারে অঙ্কিত কবিতা হৃদয় কুঁঠিরেতে দিয়েছে সে ঠাঁই।
কোনো এক শূণ্য ছায়াপথে, দিবা লোকের অন্তরালে পরিচয় তব হৃদয়ে।
নব চিত্ত চেতনায়,সৃষ্টি বিশ্বলয় বাঁধিবার বড়ই যে সাধ হয়, তব হৃদয় কুঠিরে।
উন্মোচিত আশায় নয়, দিব্য জ্ঞানান্তে মম ভষ্ম হৃদয় তব কোমল স্পর্শে,
নতুনের ভালোবাসায় দিগন্ত জুঁড়ে বাঁচিবার বড়ই ইচ্ছার দোলা দেয় আজি এ মনে।
দেবে কি তবে, তোমারই সাধে, সাধিতে তোমার ভুবনে আমারে ঠাঁই?
আছে এ দেহে প্রাণ, প্রয়োজনে তোমার, সপেদিতে চাই এ দেহ-মন প্রাণ।
তবু যে কাটেনা মনেরই সংশয়, ধুলোর ধুলিতে যদি যাই লুটে।
কি হবে তবে, মম জীবনের শেষ পরিণতি?