তব ললাট হরে, নাগিনী আঁখি ধারায়,
লবেতে স্বর্ণ কেশরাজ, মন সে ধরায়।
নিক্কন তল ধারায়, অঙ্কিত ওষ্ঠ বিহারি মাঝে,
আলপনা আঁকা রয়, রূপে সে বাহারী সাজে।
কন্ঠ বিহার কাননে, মম হৃদয় বাসনালয়,
রত্ন সে যে, মগ্ন মম, আঁখি ভালোবাসায়।
সুন্দর তব যুগল আঁখি, পলকে-পলকে,
সমুদ্র বিলাসী মুক্তা সে, ঝলকে-ঝলকে।
লব নয়নও মাত্রায়, সুনিপুণ শীতল ছায়া নিবারণে,
রাখি তব নাগিনী আঁখিদ্বয়, পরম যতনে বাঁধণে।
বাহারী আঁখি হর, তব বংশী বিহারী ছায়ায়,
বংশী তোমা তরও, সেও পলকে ধরা রয়।
জ্যোৎস্না-স্নাত নিশি, বেষ্টিত চন্দ্রিমায়,
অপরূপা করি তব, কেশপুরী ধরালয়।
গুণের মহিমা লাগি, তব রূপেরও ঝলকে,
দৃশ্যমানে করিছে সে, ব্যকুল চিত্ত পলকে।
নারীত্তে নর, অসহায় দারিত্তে ব্যকুল,
সর্বান্তে-সর্বাজ্ঞে সাহার্যার্থে আকুল।
সমাজ সেবিতে লাগি, তব মনপ্রাণ,
ইহাতেই আনন্দ, তোমারি মানবপ্রাণ।
সর্বান্তে সর্বাজ্ঞে, রূপক আলোক মহিমা,
দেখি যত তব লেখা, মন সে ভাবি সখা।
উৎস সে ভাবনা, তব হরিনী সে হৃদয়া,
যত মম মেলি আঁখি , হৃদয় সে ব্যকুলা,
ফিরিতে নাহি চায় মন, মায়াবী সে নয়না।
লেখিতে মন চায় জ্যোতি, তব আঁখি মনমতো,
শেষিতে চাহি নত, নাহিতে শেষ, আর কতো।
যত লেখি তত লেখা, কথো সে বারী শত,
অবুঝ মন আজি, সে তোমারি লাগি তত,
ঐ তব যুগলে মম, নয়নে নিবন্ধ করি অনাগত।
তব হৃদ্ প্রেরণা পাই হে ক্ষণ মম মনে,
সুতায় বাঁধি আজি তব, মম হৃদয় কাননে।
কাব্য সৃষ্টি চয়নে, বাঁধিব সে ব্যকুল নয়নে,
বাঁধিব তোমারে, মম হৃদয় কুঞ্জ গহনে।।