হয়তো একদিন এই আলোক রশ্মি,
গোধূলির আলো পেড়িয়ে সন্ধ্যার আধার নেমে আসবে।
আধার নামবে প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
ভূমিদহে লাঙ্গলের আঁচ পড়ে যাবে।
মাথার উপড় বটপত্রও সেদিন শুকিয়ে ঝরে পড়বে।
সূর্যের তেজকে সেদিন বাঁধা দেবার কেউ থাকবে না।
ক্লান্ত দুপুরে ক্লান্ত দেহ জুঁড়ে শুধু হতাশার বাণী।
সেদিন নয়ন সৌন্দর্যে আর সানগ্লাস উঠবে না।
দৃষ্টি শক্তি লহিত হবে, পাওয়ার গ্লাস স্থান পাবে।
দেহ কাঠামো নিস্তেজ অসহায়, অচল পথ চলা।
পথ চলাও সেদিন হয়তো থেমে যাবে।
অসাড় দেহ করুণার পাত্র ক্ষণেই সব স্তব্ধ।
রাতের চিরো আঁধার শায়িত অবনি।
সবই জানি এই মানব হৃদয়।
তবুও শুধু চাই চাই, আরও চাই।
অঢেল সম্পদ, তবুও দুর্বলতাকে ঠঁকিয়ে
যেনো পাই সুখের অধরানন্দ।
সার্থ সিদ্ধিতে যেনো নিজেকে পিছনে না ফেলি।
নিজের সার্থ হাসিলে অন্যের যায় যাক মহাপ্রাণ,
তবুও তার শেষ সম্বল, আমারই যেনো হয়।
আছে সম্পদ, জমানো ব্যাংক ভর্তি টাকা,
আছে দালান কোটা তিন চার জায়গায়।
পাশে আছে গরীবের ঐ সামান্য টুকু জমি,
ওইটুকু যে দরকার আমার আগে।
না হলে যে মিলবে না মোর সম্পদে হিসাব।
ভাবছি বসে এই নিরালায়
কি হবে এই দালান-কোটা আর, অঢেল সম্পদ।
চোখ বুজিলে হবে যে সব, তেরই আঁধার।
থাকবে পড়ে ঠকানো এই স্বার্থের অঢেল সম্পদ,
দুঃখীর অভিশাপ পরপারে, রইবে জমা খতিয়ান।
বিচার হবে দাঁড়িপাল্লা
বুঝবো সেদিন পরপারে
নিরিহ ঠকানোর যন্ত্রনা যে, কত প্রকার, কারেই বা কয়।
সবই জানি, সবই বুঝি
তবুও আজি মন মানে।
পরকে ঠকানো নেশা যে আমার,
এতেই যে পরমানন্দ,
এতেই যে পরম সুখ।।