আজি এ গো্ধূলি ফাগুনও বেলায়,
মনে দেয় দোলা,
দেয় মনে সাড়া।
শৈশব স্মৃতি মনে দেয় নাড়া।
ঢাকেরও বাজনা, ঢিতাং-ঢিতাং-ঢিতাং
ডাক দেয়, আয় আয় আয়রে,
সবেমিলে আয়রে।
রশি ধরে আমায় টেনে তোলরে।
এই কে কোথায় আছিস চলরে,
চড়ক উঠাতে ওই ঠাকুরদের পুকুর পাড়ে।
দেই দৌড় বন্ধু-স্বজন মিলে
চড়ক উঠাতে ওই, ঠাকুরদের পুকুর ধারে।
কেউ কেউ আনন্দেতে খায় হোছোট,
হোছোট খেয়েও নাহি ফিরে ঘরে।
ব্যথা-বেদনাও পায় সে ক্ষণে লাজ।
সবি শৈশবের গাঁথালীলা।
আবার উঠিয়া দৌড়ে ধরিয়াছে, চড়কে বাঁধা রশি।
দিয়েছে রশিটান, সবেমিলে হোই হোই তালে সুর।
আদরে যতনে, চড়ককে করিয়ে স্না্ন,
ফিরেছে সবাই নিজ নিজ আলয়,
করিয়া তব প্রার্থনা সবে।
চড়কপূজা, পূজা শেষে প্রসাদ।
দূর-দূড়ান্ত থেকে আগত দোকানীর ঢল,
জনস্রোতে চড়ক ময়দান নেইকো কোনো ফাঁক।
বিকেলে মেলা, মহা চড়কের মেলা।
সকাল-দুপুর, বিকেল-সন্ধ্যা, রাতেরও বেলায়,
গিয়েছি সবি পরিবার-পরিসর, বন্ধুজনে।
কত আনন্দ, কত খুশি সেই সবি ক্ষণে।
বসি নিরালায়, ঘরেরও কোনে,
মনে পড়ে আজি, এই গোধূলি ফাগুণ বেলায়।
পর পর দু’টি বছর, কেটে গেলো করোনায়,
নিরাশায় বাঁধি বাসা, প্রজন্ম ধারায়।
দেখিতে নাহি পায়, চড়কের মহালয়।
নব প্রজন্ম ধারা, দু-এক বছর দেখিছে যারা,
করিছে তারা আজ, হায়-হায়, হায়রে করোনা।
বাঙ্গালীর সংস্কৃতি আজি,
হইলো বেদনার অশ্রুতধার্।
করোনায় কেড়ে নিলো সবই,
যত হাসি-আনন্দের সমাহার।।
১৩-০৪-২০২১ খ্রি.