বৈশাখী?
হ্যাঁ তোমাকে ই বলছি!
বৈশাখী, কেমন আছো তুমি?
জানি বলবে ভালো আছি।
আর কেনই বা খারাপ থাকতে যাবে?
কেনই বা বলবে না ভালো আছি!
আর তোমাকে অবশ্যই ভালো থাকতে হবে।
কেন জানো?
তুমি নবীনের পথ যাত্রী,
তুমি গন্তব্যের পথের সাথী।
তুমি কারো হৃদয় কুঠিরে বসন্তের আলপনা,
তুমি কারো আশার আলো,কারো বাধভাঙ্গা স্বপ্ন।
তুমি ফাল্গুনীর আম্রকাননের সুমিষ্ট বায়ু,
তুমি গ্রীষ্মের আম কাঠালের সুবাশিষ প্রাণ।
তুমি বর্ষার অগ্নি স্নানের শান্তির আভাস,
তুমি নবপত্রে সজ্জিত হাস্যজ্বল বৃক্ষদেবী।
তুমি শরতের আগমনী বার্তা,
তুমি নীলাকাশে সাদা মেঘের প্রদক্ষিণ।
তুমি নদীতীরের নিষ্পাপ সাদা হাসি,
তুমি দশভুজা মহামায়ার কমল কুঠির।
তুমি হেমন্তের মিষ্টি হাসি,উওরের হিমেল হাওয়া।
তুমি শীতের চাদর জড়ানো মিষ্টি হাসি,
তুমি খেজুর রসের প্রকৃতির অনাবিল আনন্দ।
তুমি বৈশাখী,
তবু্ও আমার জীবনে প্রস্ফুটিত
পলাশ শিমুলের দৃশ্যমান পুষ্পরেণু।
তুমি চিরো বসন্ত,বসন্তের অপরূপ শোভা।
তুমি আমার বসন্ত,
তুমি আমার নবজাগরণের হৃদ্যযন্ত্র।
তুমি আমার বসন্তের বাসন্তী,
তুমি আমার স্বপনের নতুন গোলাপের উদ্যান।
তুমি হয়তো কারো?
তবু আমারই প্রস্ফুটিত, সুশোভিত,
শোভা মন্ডিত, অলক বিহারি,
পলক বিহীন দৃষ্টি দিগন্ত সৃষ্টি সুখের উল্লাসী।
আমার মনের নব জাগরণের নতুন স্বপ্ন।