যাবার আগে দেখতে যাবো
আমার শেষ ঠিকানা।।

যে ঠিকানায় পঞ্চভূতে।।
মিশে আছে সৃষ্টিকর্তা বাবা।
এই ঠিকানায় আছে কতো
চেনাজানা পাড়াপড়শি আত্মীয় স্বজন।।

যাবার আগে দেখতে যাবো
আমার শেষ ঠিকানা।।

যাবার আগে আজ কিছু দিন গতো
বারে বারে হৃদয় অবিরতো।।
যা গিয়ে দেখ মনরে তুই
ওতোর অন্তিমের ঐ শেষ ঠিকানা।

জন্মকালে মায়ের কোলে, ধরিত্রীর বুকে,
অন্তিমকালে দোলায় দুলে
চিতায় পুঁড়ে শেষ
চিতায় পুঁড়ে শেষ।।

যাবার আগে দেখতে যাবো
আমার শেষ ঠিকানা।।

স্ত্রী, পুত্র সেদিন সবি, কান্নার আহাযারি
ভাসিয়ে দিয়ে করলে আমায়, করলে আমায় কি?।।
কি খাবো কি করবো, সংসারের এই হাল
রেখে গেছো যা কিছু, চলবে কিছুকাল।
তারপরেতে চলবে কিসে, চলবে এই সংসার
জোঁড়া তালির ছিন্ন ভিন্ন, ভব এই সংসার।

যাবার আগে দেখতে যাবো
আমার শেষ ঠিকানা।।

ওরে! মা যে আমার চোখের জ্বলে,
ভাসিয়ে দেবে বুক যে সেদিন,
বারে বারে ধুলায় সেদিন, খাবে গড়াগড়ি।
হবে অচেতন ধুলায় গড়াগড়ি। ,

বুকে আমার মাথা ঠুঁকে হইবে চেতনহারা।।
দশমাস দশদিন গর্ভেতে যতনে ধারণ
ভূমিষ্ট কোলে নিশিজাগরনে করেছি তোকে লালন পালন
আমার আগে তুইযে যাবি এমনটা কথা নয়।
ওরে মা যে আমার চোখের জ্বলে ভাসিয়ে তাহার বুক
অচেতন হবে সেদিন বারে বারে ধুলায় মাতওয়ারা।

যাবার আগে দেখতে যাবো
আমার শেষ ঠিকানা।।

ভাই-বোন আর আত্মীয় স্বজন, আসবে দলে দলে
শেষ যাত্রায় অংশ নিতে আঙিনায় ভরপুরে।
সবাই বলবে হলো সময় এইবার যাত্রার
মা যে আমার কেঁদে কেঁদে বলবে সেদিন
কোথায় নিবি যত্নে গড়া আমার মানিকসোনা।

কি সুখ নিয়ে বাঁচবো আমি সন্তান হারা আমি যে তার মা।
আর একটু দেরী কর রে তোরা দেখি নয়ন মেলে
আর যে তোকে দেখতে নাহি পাবো আমার জনমলয়ে।
ওরে মা যে আমার চোখের জ্বলে ভাসিয়ে তাহার বুক,
অচেতন হবে সেদিন বারে বারে ধুলায় মাতওয়ারা
বুকে আমার মাথা ঠুঁকে হইবে চেতনহারা।

যাবার আগে দেখতে যাবো
আমার শেষ ঠিকানা।।

ক্ষমা করে দিও মাগো আমায় এই জনমে,
শৈশব হতে আজ অব্দি দিয়েছি তোমায় কতো কষ্ট।
তোমার যতনে আদরে হয়েছি আজ যে প্রতিপত্তি,
তুমি ছাড়া এই জনমে আপন কেহ নাই।
জানার পরও নিজ জ্ঞানেতে দিয়েছি তোমায় শতকষ্ট।

পরজনমে মানব জনম হয় যদি এ ধরায়
তোমার গর্ভেতে আবার যেনো হয় যেনো মাগো আমার পুনঃর্জনম।
তখোন আমায় করতে সেবা দিও তোমার চরন তলে
এই জনমে করো ক্ষমা আমার অন্তিমকালে।
যাবার আগে দেখতে যাবো
আমার শেষ ঠিকানা।।

হায়রে, যাবার আগে দেখতে যাবো
আমার শেষ ঠিকানা।।