অন্তিম সম্বল বিরহ শোকানল ছিন্নভিন্ন বুকে ঘরহীন উঠোনে
চিৎ হয়ে পড়ে আছে উপবাসী জননী
দুচোখে তার অবারিত জলধারা যেনো শ্রাবণের বৃষ্টি
আকাশে রবি ভেংচি কেটে বাতাসে ছড়ায় অগ্নিগোলা ।
দুটো শুকনো রুটি, এক টুকরো গুড় কাগজের ঠোঙ্গায়
সকাল থেকে কুকুরের জিম্মায় করছে আনচান ।
মুখে উঠে না খাবার । দরদী পলাতক ।
রিলিফের টিনগুলো নিঠুর তামাশায় রেখে গেছে সে পাড় ভাঙ্গা কুয়ায়
পাড় ভাঙ্গা কুয়া শব্দহীন নিশিতে মিশে যাবে অথৈই সাগরে, সে জানে ।
বয়স খেয়েছে কাল, যৌবন মরেছে অভাবের ঘানি টেনে
ছেলের হাত ধরে ভেসে গেছে স্বামী হঠাৎ বন্যায়
ভেসে গেছে ঘরবাড়ি অভাব অনটন
পড়ে আছে শুন্য ভিটা, পড়ে আছে সে ।
বিকেল গড়িয়ে নামলো সন্ধা । মুমূর্ষু জননী বাসি রুটি দুটি
তুললো মুখে । বিধাতার নিকট বিড়বিড় করে পাঠিয়ে দিলো
কিছু দুর্বোধ্য প্রলাপ । জিম্মাদার কুকুর খুশিতে চোখ বুজে
লেজ নাড়তে নাড়তে ছেড়ে দিলো দুনয়নের নোনাজল ।