সফেদ চাদরে ঢাকা চিকন-চাকন দেহ
বকের পাখার মতো সাদা চুল ব্যাক ব্রাস করা
আমার এই ঝাপসা চোখে এক মনীষী তিনি
কাগজে কাগজে লেখেন হরেক-রকম লেখা দেশ নিয়ে রাজনীতি নিয়ে
অন্যায় অবিচার দূর্নীতি নিয়ে অভাগা মানুষের দুঃখ কষ্ট নিয়ে
মাঠে ঘাটে টকশোতে তোলেন বুলন্দ আওয়াজ
আমি মনে দিয়ে পড়ি, হৃদয় দিয়ে শুনি তার প্রতিটি শব্দ ।
তাকে পড়তে পড়তে সেদিন তোমার কথা মনে পড়ে গেলো আইজুদ্দিন
আমাকে তিনি স্মরণ করিয়ে দিলেন তুমি লেপটে আছো চারুকলার
বাউন্ডারি দেয়ালে । তোমার ঘরে খাবার নেই, বউ ছেলেমেয়ে কলাপাতায়
লজ্জা ঢাকে, তালিমারা গামছা তোমার ছতর ঢাকে না, কোন কোন অঙ্গ
উঁকি মেরে আকাশ দেখে । সন্ধার মিয়ানো আঁধারে পুলিশ আসে, আসে
গৃহপোষা সাংবাদিক । পুলিশের তাড়া খেয়ে তোমরা কচুরীপানায় ঢাকা
মজাপুকুরে ডুব দিয়ে কালাকুইচ্চার মতো প্যাক কামড়ে প্রাণ বাঁচাও ।
এই বুড়ো বয়সে আমিও ভালো নেই আজিরুদ্দিন, কষ্টে আছি, বড় কষ্ট ।
মাছ ধরার জাল, বাপ দাদার ভিটাবাড়ি, পরণের কাপড় সবকিছু ছিনিয়ে নিয়েছে
দস্যুর দল । সৈয়দ বাড়ির বাঁশমুড়ায় বসে চোখের জলে এখন সিনান করি ।
পেটে ক্ষুধার তীব্র দাহন বাধা মানে না, পরিবার পরিজন ঘুরছে আর ঘুরছে
বড় লোকের দুয়ারে দুয়ারে চড়কির মতোন ।
তুমি এখন কেমন আছো আইজুদ্দিন?