দেহের ভাঁজে ভাঁজে আগুন জ্বলে দুর্নিবার, অন্তর জ্বলে ধিকিধিকি
আমি এক অশান্ত বেকার নিয়তির তীরাঘাতে আজন্ম আহত
জীবনের সকল দুয়ার হয়েছে বন্ধ, নিষিদ্ধ এখন প্রবেশাধিকার।
আমার পৃথিবী জুড়ে ধেই ধেই নেচে বেড়ায় বেপরোয়া ঝড় ধ্বংসাত্মক
সাইক্লোন উতাল মাতাল সাত সমুদ্র যেনো এখোনি গুঁড়িয়ে দেবে
আলখেল্লায় লুকায়িত সভ্য সমাজের বাটপারমহল, ফেনিল প্রহর ।
সেই কবে থেকে দুর্গম পথে দৌড়াতে দৌড়াতে ক্লান্ত আমি
আমার দুপা ফেটে রক্ত সোত জন্ম দেয় রক্তিম বন্যা
মাঝে মাঝে নিশ্চিহৃ হয়ে যায় আমার চলার পথ, কাঁচা-পাকা সড়ক
ডুবে যায় চাঁদ ডুবে সূর্য যেদিকে ওঠে সেদিকেই ।
ইদানিং ঝাপসা চোখে স্পষ্ট দেখি অতিপরিচিতজন হরহামেশাই
হেঁটে যায় ছন্দময় গতিতে আমার সিনা বরাবর নাকের সিঁড়ি বেয়ে
নেমে যায় আঁধার গুহায় । ঠাসঠিস বাঁধে যুদ্ধ, প্রবল যুদ্ধ । টানটান চাকু
চকচকে সোনালী বাঁট, কোমরে ঝুলানো বাদামি পিস্তল ।
আমার দুর্বল নাড়ি কালো চিটচিটে কপাল বারবার পোড়ে
পুড়ে পুড়ে হয়ে যায় ছাইয়ের পাহাড় ।
কামনার ঘরে আগুন জ্বলে কোথায় পাবো বাঁচার উপকরণ, প্রখর তেজ
উপবাসী মাঝি আমি, কি করে ভাবি অন্যের কথা?
নরক দেখিনি শুনেছি ভয়ংকর । এ জগত তার পশ্চাৎভূমি
এখানেও চলছে খেলা অপ্রতিরোধ্য । প্রভু, আর কতোদূর যেতে হবে
বেলা যে পড়ে এলো । সন্ধার মিয়ানো আঁধারে আর কতোদূর এগোলে
খুঁজে পাবো আলোর দেখা, খেয়েপড়ে বেঁচে থাকার মতো একটু কাজ?