'যেখানে সেখানে প্রস্রাব করা নিষেধ' লেখা
নিষেধাজ্ঞা এখানে সেখানে দেখতে পাই।
অথচ এই তিলোত্তমা শহরে যেখানে সেখানে
দূরের কথা, যথাস্থানে গণ শৌচাগার নাই।

তাই খুচরো পয়সায় ভরা ঝনঝন করা
ঝুলে থাকা প্যান্টের পকেটের মত-
টনটন করা ভারী মুত্রথলি নিয়ে মসজিদে যাই,
দ্রুত দৌড়ে মার্কেটের দিকে যাই।
নারী হলে কী করতো? সেটা ভাববার সময়
আমার হাতে এখন একদম নাই!

কিন্তু সেখানকার শৌচাগারে তালা ঝুলে আছে ;
তালা খোলার চাবি নাই।
পানি আছে বদনা নাই, বদনা আছে পানি নাই,
কিংবা কোনোটিই নাই।

এত এত নাই ,
তবু নিজ ইচ্ছায় হিসি থামানোর একবিন্দু
শক্তি ও সক্ষমতা আমার শরীরের নাই।

নির্বাচন চলে গেছে সেই কবে, রাস্তায় নেমে
এখনো দেয়ালে দেয়ালে ভোটের পোস্টার
দেখতে পাই - লেখা আছে ভোট চাই।
ইচ্ছা করে, কোন একটা দেয়ালের সামনে
গিয়ে নিজেকে আড়াল করে দাঁড়াই;
পোস্টারের গায়ে মূত্র বিসর্জন করে এমন ভাবে
'ভোট' শব্দটা লেপটে দিয়ে যাই,
যেন পোস্টারটা নিজেই প্রতিবাদ করে বলে-
এই শহরে যথাস্থানে স্বস্তির গণ শৌচাগার চাই।