তোমাকে এক ফালি রোদের কিরণে খুজিঁ ,
খুজেঁ বেড়াই ব্যস্ততম শহরের প্রাচীর ভেদে।
ক্লান্তিহীন সকালের আলোর ভাঁজে খুজিঁ ,
খুজেঁ যাই ঘুমহীন শত সহস্রাব্দ রাত কেদে।
তোমাকে আমি ভালবাসি শিশির বিন্দু হয়ে ,
তুমি শুষে নাও আমায়, দাও কিছু পূর্নতা।
হারিয়ে যাব আমি তাও পারবনা দেখতে ,
কোন বিষন্নতায়, তোমার চোখে শূণ্যতা।
আমি খুজেঁ যাই একচিলতে হাসি তোমার,
যা দেখে বুকের স্পন্দন যেন প্রকম্পিত হয়।
ধীরে ধীরে গ্রাস করে নিচ্ছে যা চেতনাকে,
অসংকোচে না বলে ফেলি, তুমিই আশ্রয়।
খুজছি তোমায় নগরীর উতসব উচ্ছ্বাসে,
শত মুখের ভিড়ের মাঝে, তোমার চেনা মুখ।
জীর্ণশীর্ণ আমি চোখ বুলিয়ে যাই সবখানে ,
আমি যে রোগী প্রীতিলতা, তুমিই সেই অসুখ।
কবিতার চরন বুকের পাজরে নিয়ে হাটি ,
শহর গলি, তোমার ছায়া আছে মিশে যাতে।
শক্ত করে মুঠোয় ধরো হাতদুটো একটিবার ,
প্রীতিলতা, নয়তো হারাব ক্ষুরধারা প্রপাতে।
তৃষ্ণার্ত হৃদয় যখন, অস্তমিত সূর্যের কাছে,
বিস্মিত নয়ন মেলে ভাবি তোমায় অনুভবে।
জবাব আসে ঐ শেষ বিকালের আলোরণে ,
প্রীতিলতা! সেতো হারিয়ে গেছে সেই কবে।