কুয়াশার চাদর ভেদ করে ,
জোছনা ছু'তে পারছেনা এই দেহ টাকে।
ব্যস্ততম নগরের সারাদিনের
নোংরা ক্লান্তি,অনুভূতি, চিন্তাক্লেশ
সব যে জমাট বেধেঁ আছে দেহ জুড়ে।
ভারাক্রান্ত এই কলুষিত দেহটা,
নির্মল এক জোছনার খোঁজ চায়।
যার মৃদু আলো গগন থেকে সরাসরি না,
স্নিগ্ধ বাতাসের গা লেগে ভেসে ভেসে এসে
আমার গায়ে আলতো পরশ বুলায়ে যাবে।
পিচঢালা পথটা ভিজে যাবে নীল জোছনায়।
অলিগলিতে জোছনা যেন উঁকিঝুঁকি দিয়ে ডাকবে,
এই গলি বা ঐ গলির মোড়ের বাকে -
টিপটিপ করে জ্বলবে জোনাকি।
শহর-নগরের প্রতিটি রাস্তায় হাটব জোছনা কুড়াতে।
গলির দেয়াল জুড়ে প্রাকৃতিক আলিঙ্গনে,
সৃষ্টি হবে এক অসম্ভব সুন্দর আলপনা।
বাহারি আলপনায় দেয়ালেই ,
যেন জন্ম নেবে নবধারার নতুন রামধনু।
এতো তাঁরই অসামান্য এক সৃষ্টি।
যেন থামিয়ে দিয়েছেন কোলাহল, অযথা কলরব
আর বাজিয়ে দিয়েছেন কলকণ্ঠ বাতাসের।
হীম বাতাসে যার ঝংকার উঠে ক্ষনে ক্ষনে।