হাজার হাজার বছর আগে যখন মানুষের সাথে মানুষের
বোঝাপড়া নিয়ে কোন রকম সমস্যা ছিল না,
তখনও কি সাক্ষী হিসেবে কেউ ছিল?
তখনও কি কাঠগড়ার প্রচলন ছিল?
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যে মিথ্যা বলা যায়,
এটাই বা কবে আবিষ্কার হলো?
সেদিন যেমন রিকশাওয়ালা আমার কানের পাশ দিয়ে,
একজন কে বলে বসলো চারুকলা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়াম ১৫০ টাকা ভাড়া।
আমার উচিত ছিল কিছু বলা।
কিন্তু আমাকে তো বলেনি, বলেছে আমার কানের পাশ দিয়ে।
আর কানের পাশ দিয়ে কোন কথা আসলে ধরা উচিত না।
আজও বসেছিলাম সম্রাট শাহজাহান এর সাথে,
সেও কানের আশপাশ দিয়ে অনেক কথা বলে গায়ে লাগাই না।
গরীবের মেসি আসছিলো ক্যাম্পাসে, সিরাজগঞ্জ থেকে,
ওর ইচ্ছেতে অ্যালামনাই গঠন করা হলো,ডাকা হলো গায়ক।
ছেলেটার একটা অটোগ্রাফ নিয়ে রেখেছি মোবাইলের মধ্যে, ডিজিটাল অটোগ্রাফ।
ভেবে রেখেছি বিয়েতে দাওয়াত করবো।
গিটার না নিয়ে আসলে ওরে রোস্টের লেগ পিছ দেয়া হবে না বলে জানিয়েছি।
আমার বন্ধু বাসায় মিথ্যে বলেছে,
সে মদ নিয়ে ধরা খাবার পরও সমাজে দিব্যি মুখ দেখিয়ে বেড়াচ্ছে।
কাঠগড়ায় উঠিয়েছিলো ওর বাসায়,সেখানেও শাইশাই করে উতরে গেছে।
আজ আকাশে অনেক খুঁজাখুঁজির পরও চাঁদকে খুঁজে পাইনি,
তবে আকাশে গুটিকয়েক তারাদের মধ্যে ছোটভাই একটা বড় তারা খুঁজে পেয়েছে,
ওকে নাসার এস্ট্রোনট মনে হচ্ছিল তখন,
কিন্তু আমার মনে আসাটা মিথ্যে বানোয়াট, তাই বলা হয়নি।
কিন্তু বড় তারাটাই কেন সে আবিষ্কার করলো? ছোট ছোট তারাদের কি ওর মানষ মনে হয়না?
এক চিলতে রোদে পাখা ঝাপটিয়ে উড়ে যায় সোনালি ডানার চিল,
আর রাতে চিল উড়ে আসে মস্তিষ্কের উপর, খুব কাছে এসে জানায় অনেক হয়েছে মিথ্যে,
এবার সত্যের মুখোমুখি হবার পালা, সত্য খুব ধারালো জিনিস,
হৃদয়ের সব গুলো ক্ষত সত্য দিয়ে কাটা। কাটা হৃদয় নিয়ে হাসফাস লাগে,
এই কঠিন সত্য রাত কি তাহলে শেষ হবার নয়?
হাজার বছরের সত্য সেই রাত?