সে একদিন আমারে বারান্দায় বইয়া কইল,
বসন্ত-দিনের দমকা হাওয়ায় তার মন দোইলা ওঠে
তারপর একদিন,
স্নিগ্ধ হাওয়া পুষ্পের সুঘ্রাণ মিশাইয়া বইতে লাগল
সে খিড়কিতে খিল দিয়া জড়োসড়ো হইয়া থাকল
সে আমারে একদিন আসমানে মেঘ দেইখা কইল,
জড়ো বৃষ্টি তার ভীষণ পছন্দ
তারপর একদিন, আসমান ভাইঙ্গা-চুইরা বৃষ্টি নামলো
জ্বর আইবার বাহানায় সে একফোটাও গায়ে মাইখা দেখল না
সে একদিন আমার কইল,
তাঁর শরতের চান্দের আলোতে ভিজার ভীষণ শখ
তারপর একদিন,
আসমানের পুরো ওঠোন জুইড়া জোছনা নামলো
সে ঘরে বাতি নিভাইয়া অমাবস্যা বানাইয়া শুইয়া রইল
এরপর, গ্রীষ্ম-বর্ষা-শরত-হেমন্ত পার হইয়া শীত আইলো
সে আমারে কইল,
কাফন রঙা সফেদ কুহেলি ছুইয়া দেখতে মন চায়
তারপর একদিন ভোরে, ঊর্ণনাভ তার সমস্ত মেধা দিয়া
কুহেলির কি স্থাপত্যশিল্প বানাইলো!
তাঁর মায়া ভরা কায়া-তে উত্তরীয় টাইনা মোহনিদ্রায় গেল
সে একদিন আমারে সমুদ্রের পাড়ে বইয়া আমারে কইল,
সমুদ্র-রঙা জাপানী গোলাপ ছুইতে অনেক মন চায়
আমি তন্নতন্ন করে খুঁজে ৩৬৯ টা গোলাপ আইনা দিলাম
কাঁটা আছে কইয়া সে ছুইড়া মারলো বহমান জলে
এরপর, একদিন সব পার কইরা আমি আইলাম
সে আমারে কইলো,
আমারে নাকি তার অনেক আপন লাগে,
আমি তার অনেক প্রিয়!
আমি আর কিছু কইবার সাহস পাইলাম না।
( ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ )