গাঁয়ে আসার সময় পেয়েছিলাম না।এটি হাতে করে নিয়ে যায় পরে গোয়েন্দা করতে সুবিধা হবে।
প্রায় এক টি মাস চোখের পলকে টকবগিয়ে পাগলা ঘোড়ার মতো জোরে চলে গেল।ঠের ও পেলাম না।কহিলেশ চাদর খানি দাও। আমাকে এক দল ওপছে‌ পড়ে ঘিরে উড়ন্ত ধোঁয়া ঘ্রাস করেছে।আরে কোনো ডাকাত নয় কালের ধারায় শীত আসিলো।এখন এক দল লোক বলিবে শশুর বাড়িতে যেন ঘর জামাই হয়ে গেল। হুম বলা যায় কিন্তু আমি তো ঘর জামাই হয়েছি গোয়েন্দা করতে গিয়ে।গ্রামে শীত মানে সন্ধ্যা হতে সবার ঘরের উঠানে লাল রাক্ষসের মতো পাখা উড়িয়ে নড়াচড়া করে যাকে শীতের থেকে আশ্রয় নেওয়া বন্ধু আগুন।আজ দাঁড়িয়ে আছি কবরস্থানে এক কবরের পাশে।কি কপাল তোমার তিনটি মাস চলে গেলো কোনো পাড়া পড়শী খবর নেই তোমার দড়ি কে দিয়েছে কেটে। হয়তোবা আজ ও সে শীতের সময় আনন্দ করছে।আমি ও সে গোয়েন্দা সংস্থা নিজ হতে এজেন্ট হয়েছিলাম তাও কোনো কিছু রহস্য উন্মোচন করতে পারি নাই। কিন্তু আমি সে সংস্থা হতে মুখ লুকিয়ে পালাবো না।এই বলে বাজারের দিকে হাঁটা দিয়েছি।চাচা এক কাপ চা আর সাথে একটা ভাপা পিঠা দেন। দোকানদার বলে দিচ্ছি আপনি বসেন। আচ্ছা দোকানদার মশাই,তিন মাসে আগে একটা লাশ পাওয়া গেছিলো এই বাজারে ওটার কি কোনো খবর আছে।ওহ সেই ঘটনা ,ওটা আর কার মনে আছে আমার তো ছিল না।কে ভাবে ওসব ঘটনা সবাই আছে নিজের ধরিয়া টানতে।হ্যা একটু শুনেছি মেয়েটি নাকি শহর থেকে এসেছে এই গ্রামে।তাই নাকি তাহলে তো মেয়েটির আত্বীয় স্বজনের বাড়ি এখানে আছে।না ভাই, মেয়েটার কোনো আত্বীয় বাড়ি এখানে খবর পাওয়া গেল না।কি বলেন দোকানদার মশাই,এমন অচেনা এলাকায় আত্বীয় নেই কোনো কাজ নেই কেনো সে এখানে আসবে। আরে ভাই যদি জাদুকর হলে বলে দিতাম। হা হা হা ঠিক বলেছেন। আচ্ছা নেন আপনার খাবারের টাকা। আচ্ছা চলি আবার খেতে আসবো শীতের মধুর চাক পিঠা এলো বলে।
রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে আর ঘরে গেলাম না। হাঁটতে হাঁটতে দারোগাবাবু পুলিশের কাছে গেলাম।যাকে বলে বাগের ঢেরা।ও দারোগা কাকু একটা কেচ নিয়ে কথা বলবো। দারোগাবাবু বলে উঠলো নতুন না পুরন ? পুরাতন কেচ নিয়ে মাথা ঘামাতে চায় না কারণ তা জট চায়লে আগে খুলে যেত এখন পুরাতন কেচ নিয়ে কথা বলা মানে নিজের মগজ ধোলাই করা।আরে দারোগাবাবু বেশি দিনের না,ওই যে কুলুভনি গাঁয়ের বাজারে একটা মেয়ের লাশ পাওয়া গিয়েছিল ওঠা সম্পর্কে।আরে ওটা তো মনে হয় লাশ হাড় ও পাওয়া যাবে না।তো তোমার কেন এতো উথালা তাকে নিয়ে।কেন দারোগাবাবু একজন খুনি খুন করে চলে গেল আর মেয়েটার জীবনের আয়ু কেড়ে নিলো এটা কি সমাধান করা আইনি দায়িত্ব বটে নই কি?আরে বাচা এই কেচ লড়িবার মতো তো ওর কোনো আত্বীয় কেউ তো সুপারিশ আসে নাই।আসে নাই কি হয়েছে আমি আপীল করবো।আপনি ফাইল বাহির করেন।বাচা আমার পকেটে তাপ দেওয়া লাগবে।ও বুঝেছি এই নেন টাকা।এখন ফাইল টা বাহির করেন? হুম এই মেয়ের কি হয়েছে?এই মেয়ের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেখে জানতে পারি তাকে অনেক নির্মম পশুর মতো ছটফট করে ধর্ষণ করেছে এক পিশাচ।পড়ে তার গলা চুরি বসিয়ে সুরঙ্গ করে দিলো।কি রকম পশুর মতো মানুষ।আমি পড়ে বাড়ি ফিরে এলাম।আর চিন্তা মনে খাদ্য আমার নালির দিকে চামুচ দিয়ে যেন প্রবেশ করালাম। নতুন সকাল নতুন তদন্ত।আমি বাজারে গিয়ে সেদিন লাশ পাওয়ার কথা সবার থেকে জিজ্ঞেস করি।কে প্রথম লাশ টি উদ্ধার করেছে।তখন একজন লোক একজন লোকের নাম বলে।ভাই তার নাম চরগিমই মশাই। একজন কৃষক সেই প্রথম দেখেছে।আমি ঠিকানা নিয়ে তার বাড়ি গেলাম।ও কাকু মশাই ঘরে আছেন নাকি।কেরে বাহিরে এই দুপুর বেলায়।কাকু আমি আপনার থেকে একটা কথা জানার ছিল।সে বাহিরে এলো এবং আমার দিকে কতক্ষন তাকিয়ে বলে আসুন বসুন কিছু এনে দি এই বলে বসার জন্য চেয়ার এনে দেয়।তিনি এসে বসলেন।হ্যা বলেন কি বলবেন? আচ্ছা আপনি তিন মাস আগে একটা লাশ উদ্ধার করেছিলেন মনে আছে।ও ও হ্যা মনে পড়েছে একটা গলা কাটা মেয়ের লাশ। হুম আপনি সেটি কোথা হতে উদ্বার করেছেন। আমার মাঠের ধান ক্ষেত হতে।আপনি কি আরো কিছু জানেন।আমি ভাই এইসব কিছু জানি না আমি একজন গরিব চাষা প্রতিদিনের মতো মাঠ দেখতে যায় তখন এই লাশ পেয়েছি সকল কে খবর দিয়েছে।সবাই এসে লাশ টি নিয়ে যায়। আচ্ছা কাকু আজকে উঠি।
এই বলে চলে এলাম ওখান থেকে।তার গরিব দরিদ্র মুখ খানা দেখে একটুও মনে হয় নি তার ভেতরে কোনো পিশাচ লুকিয়ে থাকবে।তা আমার মুটে ও মনে হয় নি।আমি তার মাঠে যায় আর জায়গাটি দেখে আসি। অনেক ক্ষন এমন ভাবে কিছু খুঁজে দেখি যেন কিছু পায় নাকি তখন মনে হচ্ছিল এক রাশ সাগর থেকে গভীর হতে হাত দিয়ে একখানা মাছ ধরার মতো।যাক প্রচুর কষ্টে একটা জিনিস পেলাম।অনেক ক্ষন চক্ষু বড় বড় করে দেখি একটি ছোট পেকেটে একটি ঠিকানা।খুলে দেখি জালাল নগর রোড় সওরাদার পাড় ঈলাল কোম্পানি।মনে মনে ভাবি এটি তো একটি কোম্পানি ঠিকানা। শশুর ঘরে গিয়ে রাতে বউ কে বললাম তিন মাস হয়ে গেল এখন শহরে চলে যাবো কালকে।কহিলেশ বলে এই কি হঠাৎ চলে যাবার কথা।আরে কহিলেশ আমাকে কি ঘর জামাই করে রাখবে নাকি।কি বলো ছিঃ না আচ্ছা ঠিক আছে কাল রওনা দিবো।
বুক ভর্তি কালো ধোঁয়া পুরো মুখ হতে নাখ ডুবে গিয়েছে কি বলবো এটি তো শহরের শরীর গত আবরণ।বউ কে নিয়ে বাসায় উঠলাম রাত হয়ে গেল তাই খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়লাম শুধু আমি ঘুমিয়ে গেলাম কহিলেশ বেশ কিছুক্ষণ সকল কিছু বাসার আসবাবপত্র ঠিক করছিলো। সকাল হলে হাতে একখানা বেগ নিয়ে সেই ঠিকানায় রওনা হলাম।বেশ কিছুক্ষণ খুঁজ খবর নিতে জানতে পারি এটি আমাদের শহরের বেশ একটু দূরে।বেশ কয়েক ঘন্টার পর সামনে দাঁড়িয়ে মস্ত বড় একটা দালান সামনে।দেরি না করে উঠে পড়লাম।দেখি সবাই ব্যাস্ত মানুষ কাজে নিয়োজিত। আমার তখন একটি মরুভূমির মধ্যে একটা পুকুর খুজার অবস্থার মতো হয়েছিল। কারণ সকলে সবাই সবার কাজে সেখানে মরুভূমিতে পুকুর কে খুঁজতে যাবে।তাও দরজা পাশে একজন কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম।আস্তে আস্তে পায়ে হেঁটে তার কাছে গেলাম।
আসসালামুয়ালাইকুম ভাই।একটু শুনবেন। হুম বলেন।আপনি চাকরীর জন্য এসেছেন।আমি বললাম না।আমি এসেছি একটা মেয়ের সম্পর্কে জানার জন্য।কোন মেয়ে? এখান থেকে তিন মাস আগে একটি মেয়ে এখানে চাকরি করতো বা এখন সে তিন মাস পর হঠাৎ করে আর আসে নাই।লোকটি মুখটি বানিয়ে বলে হুম ছিল। কিন্তু কেন তুমি কি করবে তার খবর জেনে? সে মেয়েটি কুলুভনি গ্রামে হত্যা হয়েছে। লোকটি বলে উঠে,কিহ বলো এই সব। হুম মেয়েটি এখন হতে তিন মাস আগে ধর্ষণ হয়েছে এবং নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। মেয়েটির পরিচয় জানেন?হ্যা তার নাম রিমি আক্তার।তার পরিবারের কেউ আছে?লোকটি বলে তাতো জানি না কিন্তু সে কোথায় থাকতো সেটি জানি। ঠিকানা টি জানার পর বেড়িয়ে পড়লাম। অবশেষে এসে পড়লাম।ঘরে তো তালা দেওয়া আমি তখন চারে দিকে দেখি কোনো মানুষ আশেপাশে নেই বললে চলে।আমি তখন কৌশলে তালা টি খুলে ফেলি।দরজা ধাক্কা দিতে দেখি অন্ধকার। মোবাইল বাতি জ্বালিয়ে প্রবেশ করলাম।দেখি টেবিলের উপরে একটি পেজে লেখা আছে।

চলবে....