কবরের সামনে এক অসহায় বাবা মনুষ্যত্ব ছেড়ে এক ক্ষুধার্ত পশুর মতো কবরে বুকে গড়িয়ে গড়িয়ে কাঁদছে। কি কষ্ট কেমনে বলি এই ঘটনা ভাষায় প্রকাশ করতে যাওয়া মানে একটি ছোট্ট খাতায় মহাকাশ আঁকবো চিন্তা করা। গ্রামের লোকজন রাস্তার পাশ দিয়ে যাবার সময় দাঁড়িয়ে গেলেন।আর এই অজস্র কান্নার সাক্ষী হলো।আমি আর সজ্য করতে না পেরে ওই স্থান থেকে চলে এসেছি।তখন একদল মানুষ চায়ের দোকানে বসে কথা বলছে যা দূর থেকে বুঝা যায় না।মনে করলাম আড্ডা দিচ্ছে। আমার মন তখন কষ্ট দিয়ে সিক্ত হয়ে রয়েছে।তাই গ্রামের সে আড্ডা দেওয়া মানুষের সাথে বসতে মন আর রাজি হয় নি। শাশুড়ি কে ডাক দি।তখন তাড়াহুড়ো করে বলে বাবাজি হঠাৎ কাউকে না জানিয়ে আবার এলে মেয়ে কই? তারে দেখছি না যে?আমি উত্তরে বললাম, আপনার মেয়ে বাড়িতে।আমি কাজে একা এসেছি।আজ রাতকে থেকে চলে যাবো। শাশুড়ি তাড়াতাড়ি ঘরে বসতে দেয়। কিছুক্ষণ পর খাবার তৈরি করে খেতে ডাকে।আমি দেরি না করে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকাল হয়ে গেল। কিন্তু আমি তখন ও ঘুম। শাশুড়ি এসে বলে,জামায় বাবাজি ঘুম গিয়ে বেলা করে ফেললে যে। কহিলেশ কাছে যাবে নে মেয়েটা বড় একলা হয়ে আছে।আমি আর দেরি না করে নাস্তা খেয়ে বাজার পার হয়ে বাস স্টেশনে জন্য বাহির হয়ে পড়লাম। বাজারে দেখি একটা কালো রোগা মাথায় চড়কা চুল ওলা মানুষ বাজারের বহু মানুষ কে কিছু বুঝাচ্ছে।আমি সামনে গেলে শুনি,
আরে পাঁচ মাস আগে একটি মেয়ের খুন হয়েছিল তার বাবা এলো কবর পারে কি ভাবে আর্তনাদ করে কেঁদে উঠলো।আর হ্যা মেয়েটিকে কে খুন করেছে তাও আমি জানি।যেদিন মেয়েটি কে খুন করবে তখন আমি দেখেছি। কারণ মেয়েটিকে আমার ঘরের মাঠের ঠিক কিছু দূরে হত্যা করা হয়েছে। একজন বলে কে খুন করেছে দেখেছো থাকে?লোকটা বলে হুম কিন্তু গ্রামের লোক না বাহির থেকে এসেছে এটা নিশ্চিত।যদি থাকে একবার দেখলে চিনতে পারবো।তখন সে হঠাৎ করে চুপ হয়ে যায়। অমনি সে লোকটি একজন কে ইশারা করে এক দিকে নিয়ে যায় মনে হলো আমাদের থেকে আড়াল হলো।কিছু একটু দূরে গিয়ে কি যেন পিস পিস করে কথা বলল বুঝতে পারি নাই।তখন জানতে পারি যাকে ইশারা করলো সে গ্রামে কর্তা।তখন গ্রামের কর্তা লোকজনের মাঝে এসে বলে।এখন এই বাজার হতে কেউ বাহির হতে পারবে না।আমি তো হতবাক কি এমন হলো যে কেউ বাহির হতে পারবে না।দেখি কর্তা মোবাইল হাতে নিয়ে কাকে কল করেছে।বিশ মিনিট হলো এখনো কাউকে বাজার থেকে বাহির হতে দিচ্ছে না।আমি ও অস্তির হয়ে পড়লাম বাসের জন্য কিন্তু কি এমন হলো বাজার অবরোধ করে রেখেছে।তখন শুনতে পাই পুলিশের গাড়ির আওয়াজ। বাজারে পুলিশ আসে।আর চারে দিকে ঘেরাও করে। পুলিশের কর্তা এসে গ্রামের কর্তার সাথে চুপে চুপে কথা বলে।তখন হঠাৎ পুলিশ ডাক দে আমাকে।আমি তো তখন কিছু বুঝতে পারছি না।আমি কি করলাম যে আমাকে পুলিশ ডাকছে।আমি ও অস্তির না হয়ে ডাকে সাড়া দিয়ে গেলাম।আমি জিজ্ঞেস করি।কি হয়েছে পুলিশ কর্তা আমি কি কোনো অন্যায় করেছি। পুলিশ কিছু না বলে সিপাহী কে বলে ওকে গাড়িতে তোলো।আমি বলতে লাগি পুলিশ ভাই আমি কি করেছি?আমি তো কোনো অন্যায় করি নাই।আমাকে কেন কোনো পাপ ছাড়া ধরে নিয়ে যাচ্ছেন?আমি জেলখানায় মুখ খানি কালো করে বসে রয়েছি।কি করেছি দারোগাবাবু আমি?তখন দারোগাবাবু হঠাৎ আমার উপর চিৎকার করে বলে,কি করছিস জানিস না।আমি বললাম, দারোগাবাবু আমি তো শাশুড় বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। দারোগাবাবু বলে,ঠিক এই রকম বেড়াতে আসলি না তোর শাশুড় বাড়িতে।আমি বললাম হ্যা পাঁচ মাস আগে এসেছিলাম কিন্তু আমি তো তখন কোনো অন্যায় করি নাই। দারোগাবাবু আমার গালে কসে একটা থাপ্পর লাগিয়ে দেয়।আর বলে তাহলে পাঁচ মাস আগে মেয়েটিকে ঐ রাতে কে মারলো।তুই সে পথে ছিলি তুই তাকে হত্যা করতে দেখেছে গ্রামের একজন লোক।সে কর্তা কে তোকে বাজারে দেখতে পেয়ে চিনেছে আর কর্তাকে খবর দিছে।এখন বল কেন থাকে মারলি?আমার তখন বিবেকটা বলে এগুলো আমি কখন করলাম?তখন আমার বিবেক নেতিয়ে পড়ে আর সে পিশাচ আবার জেগে উঠে তখন আমার সব মনে পড়ে।আমি বলতে লাগলাম, সেদিন সে মেয়ে আমার একই বাসে ছিল।আমি তখন তাকে দেখে আমার ভিতরে পিশাচ রুপে এক ধর্ষনকারী খাদক সত্তা জেগে উঠে।তখন বাস থামে কুলুভনি গ্রামে রাস্তা অনেক দূর। অন্ধকার কেউ নেই তখন মেয়েটি ও নামে আর একা দাঁড়িয়ে থাকে।একা মেয়ে কেমনে কুলুভনি গ্রাম পার হয়ে কেমনে পাশের গ্রামে যাবে।আমি তখন আগ বাড়িয়ে বলি।আপনি কি একা যেতে পারবেন?মেয়েটি চুপ।তখন আমি যখন একা হাঁটা দিলাম।তখন দেখি মেয়েটি কোনো পথ না পেয়ে আমার পেছন পেছন আসতে লাগে।তখন একটা বড় মাঠ পড়ে।আমি তো তখন নেমে গেলাম মেয়েটি ও কোনো উপায় না পেয়ে আমার পেছন পেছন আসতে লাগে কারণ কুলুভনি বাজার পাড় হলে তার আরেক গ্রাম তার গন্তব্য।তাই আমার উপর ভরসা করে কুলুভনি অন্ধকার মাঠ পাড় হতে চায়। কিন্তু তখন আমার বিবেক টা মরে যায় হঠাৎ।তখন আমার ভিতর পিশাচ জেগে উঠে।আমি তখন হঠাৎ মাঝ মাঠে দাঁড়িয়ে গেলাম তখন তার দিকে এগিয়ে যায়।সে বলে কুলুভনি বাজার কি এসে গেলাম।আমি শব্দ না করে তার মুখ চেপে ধরে মাঠে ফেলে ধর্ষণ করার চেষ্টা করি তখন সে আমার সাদা কাপড় টা টান দে বাঁচার জন্য তখন আমার কাপড় ছেড়ে যায়।আমি তখন তার গলায় একটি আপেল কাঁটার জন্য একটি চুরি ছিলো সেটা দিয়ে তার গলায় ছুরি বসিয়ে দি।আর লাশটি তখন মাঠের খেতে ফেলে দিয়ে।বেগ থেকে আরেক টি কাপড় নিয়ে ছেঁড়া কাপড় টি পরিবর্তন করে ফেলি।তখন মাঠের মধ্যে অনেক ক্ষন দাঁড়িয়ে থাকি তখন আমি এই ঘটনাটি মাথা থেকে মুছে ফেলতে তখন আমার বিবেক জেগে উঠে।আর আমার বিবেক জেগে উঠতে আমার ভিতর হতে পিশাচ রুপে সে শয়তান ঘুমিয়ে পড়ে। আমার ভিতরে তখন ভালো সত্তা জেগে উঠে আমি তখন সে সব ঘটনা আর মনে থাকে না।কারণ মানুষের বিবেক মরে গেলে সে কি করে সেটি আর বুঝতে পারে না।যখন তার বিবেক জেগে উঠে তখন সে কি করেছে কিছু মনে পড়ে না যতক্ষন তা কেউ আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে না দেয়।
মানুষের বিবেক বেহুঁশ,
নাই যে তার কোনো হুঁশ।
তুমি হয়ে যাবে পশু,
যদি না থাকে হুশ।
মানুষের দুই আছে সত্তা,
এক নাম পিশাচের আত্মা,
আরেক নাম বিবেকের সত্তা।