সিগারেট টি জ্বালিয়ে ছিলাম ওমনি তা শেষ হয়ে গেল। কিন্তু আমার মনে কিন্তু সে রহস্য টি শেষ হয়ে যায় নি। সন্ধ্যা হয়ে নামছে আমি এখনো সে বাস স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছি।হাতটি পকেটে দিতে মোবাইল হাতে নিলাম নাম্বারে কল করে জানিয়ে দিলাম তাকে।আমি আজকে ঘরে যাবো না আমি একটি কাজের জন্য শহুরের বাহিরে যাচ্ছি।এই বলে মোবাইল টি রেখে দিলাম তাকে কোনো সুযোগ দিলাম না প্রশ্ন করার।একটি টিকেট কিনে বসে পড়লাম গন্তব্যে।রাত গভীর বাসের টান অনেক বেশি শুধু ড্রাইবার ছাড়া সকলে মৃত্যুর মতো নেতিয়ে পড়ে আছে ঘুমের দেশে। মানুষ বড় জটিল প্রাণী।তাকে সব দিকে বজায় রেখে চলতে হয়। কিন্তু তা কি আর হয়।এক কূল ধরে রাখতে অন্য কূল ভেঙে যায়। মানুষের জ্ঞান পরিধি যারা বলে অনেক বেশি আমি তাদের বলি এটি মিথ্যা। নতুন জ্ঞানের প্রতি জল খেলে পুরাতন জ্ঞানের জল শেষ হয়ে যায়।এখন বলিবে এগুলো কেন চিন্তা করতেছে।কি বলবো তোমাদের মাঝে মাঝে মনে হয় আমি স্বপ্নে আছি ঠিক মনে হয় এখন ঘুম ভাঙলে কিছু হয় নাই।আমি মুক্ত জীবনে।ঘুম থেকে উঠি আর চারে দিকে তাকায় দেখি গন্তব্যে চলে আসলাম।আমি ও দেরি না করে নেমে পড়লাম। হালকা আস্তে আস্তে পায়ে হেঁটে পাড়ায় গলি এসে পড়লাম। হুম সে মেয়েটি যার খুন হয়েছে।সে মেয়েটি আসতে চেয়েছিল কিন্তু কুলুভনি গ্রামে নেমে গেছে।তাই এখন তার সঠিক গন্তব্যে এলাম।চারি দিকে দেখি ছাউনী দিয়ে বাড়ি।তখন এক মুরুব্বি সে পথে হাঁটছে।আমি তাকে গিয়ে বলি,
চাচা একটু দাঁড়াবেন।সে সাথে সাথে দাঁড়িয়ে গেল এবং আমার দিকে অনেক ক্ষন তাকালো, হ্যা বাবা বলো কি বলবে?চাচা আপনি রিমি আক্তার নামে কাউকে চিনেন?চাচা উওরে বলে উঠেন,কোন রিমি এখানে তো রিমি নামে কেউ থাকে না বাবা।আমি বললাম চাচা সে মেয়েটি শহরে থাকে তার পরিবার মনে হয় এখানে থাকে।চাচা সাথে সাথে বলে উঠে আচ্ছা ওই রিমি ও এখানে থাকে না তো তাই চিনি নাই।তার বাপের বাড়ি এখানে ওই যে বশির উদ্দিনের তার মেয়ে রিমি সে পড়ালেখা চাকুরী করার জন্য গেয়েছে বহু মেলা বছর হয়ে গিয়েছে এখনো এই এলাকায় আসে নাই।আমি ও বিদায় নিয়ে সেই ঘরে গিয়ে বলে উঠলাম এটি কি রিমি আক্তারের বাপের বাড়ি।সেখান থেকে একজন অর্ধ ছেঁড়া গ্রাম বাংলার মতো পড়া শাড়ি পড়া মহিলা দৌড়ে আসে।আর বলতে থাকে আমার রিমি কই? তার কি কোনো খুঁজ পাওয়া গিয়েছে সে কিহ আমাদের ভুলে গেছে?তখন আমি বলে উঠি রিমি কি আপনার মেয়ে?সে মহিলা বলে আমি ওর মা।আমি বলি আপনারা কি রিমি কোথায় আছেন কেউ কি জানেন?আরে বাবা আমার মেয়ে চার মাস আগে আসবে বলছিলো কিন্তু সে তো আর এলো না।আর কোনো কল ও করে নি ।কোনো খুঁজ পাই নি।আমি নরম গলায় বলে উঠি আপনার মেয়ে সেদিন আপনাদের এখানে আসতে চেয়েছিল। কিন্তু সে হঠাৎ এক গ্রাম আগে কুলুভনি গ্রামে নেমে গিয়েছিল। আচ্ছা ওখানে কি আপনাদের আত্বীয় রয়েছে? মহিলা টি বলে নাহ ওখানে কেহ থাকবে।আমি বললাম সেদিন।কিহ হয়েছে বাচা বলো থেমে গেলে কেনো?
তাকে কেমনে বলিব তার মন দেখে মনে হচ্ছে ছিল এখন যেন পৃথিবীর মতো গভীর রাতে ভূমিকম্প ভেঙে আর্তনাদ করে উঠবে।
আপনার মেয়েকে সেদিন কুলুভনি বাজারে লাশ পড়ে থাকে।আমি এটি বলতে তার আর দেরি হলো না সে আমার বাচা বলে চিৎকার দিতে বেহুঁশ হয়ে পড়ে গেলো।ঘরের ভেতর হতে তারা তারি আরো দু তিন জন দৌড়ে আসে।কি হলো খাম্মা।আমাকে ওমনি বলে উঠে।কে আপনি?কি করেছেন আমাদের খাম্মা কে?আমি বলে উঠি আমি একটি খবর থাকে শুনাতে অজ্ঞান হয়ে গেলো।আমি বুঝতে পারি নাই সে এই খবর পেয়ে অজ্ঞান হয়ে যাবে।তারা বলে কি শুনিয়েছেন? তাদের সব খুলে বললাম। তাদের চোখের কোনে যেন নদীর স্রোত তৈরি হয়ে গেল।তারা সেই মহিলা টিকে পানি দিয়ে হুশ করে।আমি তখন বাহিরে দাঁড়িয়ে রয়েছি।দেখি একজন বয়স্ক লোক দৌড়াতে দৌড়াতে আসে।কি হয়েছে খাইরেনের?এসে আমাকে দেখে বলে তুমি কে?আমি বলি,আমি শহর থেকে এসেছি রিমির মৃত্যু খবর জানাতে।তিনি তখন ধপাস করে মাটিতে বসে পড়লো। কিন্তু চোখে পানি নেই দেখে বুজতে পারলাম তার বাপ হবে।আহা পুরুষ মানুষ মন কষ্ট ছিরে যায় কিন্তু ভাঙ্গে যায় না।তার চেহারা কষ্টে ফেটে যাচ্ছে কিন্তু এক ফোঁটা ও জল চোখ থেকে পড়ছে না।অনেক ক্ষন পর তাদের হুশ ফিরে এলো মনে হচ্ছে আর্তনাদ জগত থেকে পৃথিবীতে ফিরেছে। আমাকে তার বাবা বলে,আপনি কি আমার মেয়ের কবর কোথায় জানেন?আমি বলি অবশ্যই।সে বয়স্ক মানুষ টি একটি ভেন গাড়ি হাজির করলেন কিছুক্ষণের মধ্যেই।তিনি বলেন বাবা বলো আমার মেয়ের কবর কোথায় দেওয়া হয়েছে?আমি তখন ভেন চালক কে কুলুভনি গ্রামে নিয়ে যেতে বললাম।