মৃত্যুই নাকি শেষ নয়, জীবনের শুরু
জ্যোতিষ্ক মণ্ডলের খুব কাছে
ছায়াপথ ধরে এগিয়ে চলা মিছিলে
একে একে জড়ো হচ্ছে
শ্বেত শুভ্র ধূসর কালো
হরিণী বাঘিনী চোখের বিচিত্র মেয়ে ছেলে ।
তোমরা শুনি মৃত্যুকেই শেষ ভেবেছিলে
বছর বছর জ্বলে মৃতেই আশ্রয় খুঁজেছিলে ।
মৃত্যুই নিবে আপন করে,
জীবনের তরে, জগতের পরে
মৃত্যু নেবে তোমাকে আমাকে, আপন করে নেবে
একই শহরে আঁকা ছবিতে হঠাৎ তুমি হারাবে ।
হারাবে সত্ত্বা, শত অস্তিত্ব যদিও থাকে বা
মুছে যাবে সব, নিমেষেই মুছে যাবে তা
শহরে শহরে জাতিতে জাতিতে অলিতে গলিতে
ধ্বংস আর যুদ্ধের যে অশ্লীল নৃত্য
নিত্য বেজে চলেছে মহারোহে সমারোহে
তবুও তা থামবে না, তা থামবার নয়
ভিখারির গান, দারিদ্রের চাপা অভিমান
কর্কশ সাইরেনের আওয়াজে অবলা পড়ে রয়
তবুও জীবন চলে
ছন্দ তালে তালে
সকালের সুখ আর বিকেলের আহ্বানে
মাঝ রাতে মধ্যাকাশে মাতম তুলে
গভীরে বাজে করুণ বীণ বালিকার ক্রন্দনে
চন্দ্র বিজয় শেষে চাঁদের বুক চিড়ে
খন্ড খন্ড মাংস তুলে দিলে নিমিষে
পৃথিবী নামের মিউজিয়াম যাদুঘরে
চন্দ্র মাথা নত করে মানুষের পদতলে
যুগে যুগে তাজমহল গড়ে তুলে নব্য প্রেমিক
ছলনার রাণী রূপের মায়ায় ভুলে
ভালোবাসা পেয়ে যায় আমি
ভাঙ্গা মনের জোড়াতালি
তবুও নাকি শান্তি নামে না ধরায়
দুর্ভোগে মরে জাতি
অশান্তির জোয়ারে, শান্তির খরায়
এইসব অট্টালিকা প্রাসাদ
কুঁড়ে ঘর ফুটপাতে নেমে আসা অবসাদ
আপন ভেবে নিজের করে নেবে সব
মৃত্যু মৃত্যু শ্লোগানে চারপাশ নীরব
তবে দ্বিতীয়বার মরে যাবার আগে
মধ্য রাতে জ্যোৎস্না আঁধারে
নিজেকেই প্রশ্ন করো নিজে
কতজনইবা নিজেকে বলতে পেরেছি
ভালো আছি , বেশ ভালো আছি ......