অনাহুতের দরবারে ভিখ মেঙ্গে
লাভ কি বল?
তেরোটি বছরের আরাধনা বিনা প্রাপ্যে
জলে ভেসে গেল।
অযাচিত আশা, স্বপ্নহীন করিডোরে
পায়চারি করে বলে অশরীরী প্রেম-
রাহুগ্রাসে লীন; এবার দ্বার খোল?
খোলে দাও দখিনা জানালা
বিভা আসুক কিছুটা, কিছুটা লোবান বায়ু।
রূদ্ধ মনে লাগুক স্নায়ু-প্রাণ গতি
শেষ হোক এই অনাহুতের আরতি।
আবার ফিরে আসুক কতগুলো নাইটিংগেল
বাসন্তী গানে ভরে যাক লাভ এঙ্গেল।

স্বম্বিত পেলেম ফিরে।
ভালবাসার দরবার এই, অহেতুক রেখেছিলেম ঘিরে
-কতগুলো মিথ্যে আশার দেয়ালে।
তুমিতো গিয়াছ অযাচিত বেদনা সব ফেলে।
জানি আর ফিরবে না
জানি আর সাজাবে না, এ মলিন ভুবনখানি।
তবুও ক্ষীণ প্রদীপখানি জ্বেলে
আশার আঁখি মেলে-
সাজাতাম নিবেদিত অর্ঘ্যখানি।
-উদাসীন ঘণ্টা শুনে প্রেম বন্দনা;
দিনান্তে করিতো রাখিলিপি রচনা।

এমনি কেটেছে তেরোটি বছর।
পুড়েছে তেরোটি নিঃসঙ্গ প্রদীপ।
ওই আশার বেদীতে তুমি ছিলে নিশ্চুপ পাথর
আমি ছিলেম রুধী পুরোহিত, কান্নায় ঝরঝর।
অনেক হয়েছে, আর না, আর না!
ভুলে যাব আজ থেকে বিরহের যাতনা।
তব প্রেমে আজ হয়েছে যা ক্ষতি
তেরোটি বছর পর আজ টানিবো যতি।
খুলিবো আজ বদ্ধ মনের রুদ্ধ কবাট
ছুড়ে ফেলে ওই পুরাণ প্রেমের বিরহী ঝুলি
নবপ্রেম আকুলে হইবো লোপাট।

১২.০৫.২০১৮
-ক্যারূ মানদল-
লাবাক, টেক্সাস