সেদিন সেই ভরা ভাদরের উলঙ্গ রাতে
উদোম জোছনা যখন বেসামাল,
হয়েছিলো কাতর; নরোম বীর্যে গড়া মেঘমালা
তার শামিয়ানা গুটিয়ে যখন লজ্জায় ম্লান
আকাশ তার আব্রু নিয়ে বিব্রতবোধ করেনি;
নেংটি ইঁদুরের মতন রোমশ দেহ নিয়ে
গর্ত ছেড়ে ঝাঁপ দিয়েছিল নধর- জোছনার বুকে।
তারপর ইতিহাস!
দীর্ঘায়িত এক সঙ্ঘমে জন্ম নিয়েছিল
তোমাতে আমাতে প্রেম; জানো, মধুবালা?
আজও সেই নরোম বীর্যের মেঘমালা-
একাকী রাত জাগে; হুতোম পেঁচার
বিরহে আশ-শেওড়ার শাঁকচুন্নি
নিঃশব্দে গুমরায়;
নির্বাক চরাচরে আর কেউ জাগে না
জোছনারাও রতিভরে নয় আর বেসামাল;
তাহাদের মৃগনাভি চুম্বনহীন অজস্র রজনী
কাটিয়ে আজ অশতীপর।
তারপর, ধূমায়িত অশরীরী রাত-
নীরবে আসে নীরবে যায়;
বসন্ত আসবার নয়; নহে আসিবার।
মধুবালা শোনো, মাইরি বলছি;
সেইসব রাতে তোমার নধর মধুনাভির
কাছে জোছনারাও হয়েছিল সলাজ;
চন্দ্রমল্লিকাও তার সুভাস গুটিয়ে হয়েছিল
চিরস্থায়ী বন্ধ্যা। ভরা ভাদর-
তার উগ্র আব্রু ঢেকে হয়েছিল
লজ্জায় আনত!
তা আর কেউ জানতো না। জানতাম-
শুধু আমি আর ওই রোমশ নেংটি ইঁদুর।
যেন সাক্ষাত ভালহালা থেকে ফ্রেয়া
কামের এক ডালা দিয়ে ভরিয়ে
দিয়েছিল ওইসব দীর্ঘায়িত প্রেম রজনী।
নরোম বীর্যের মেঘেরা উদ্দাম লাগামছাড়া, হয়েছিলো
আব্রুহীন লুটোপুটি বেসামাল জোছনার বুকে।
অথচ, তারপর কত সহস্র রাত পেরিয়ে গেছে!
হুতোম পেঁচাও ভাদর ছেড়ে কোন
এক শীত রাজ্যে ফেরারী।
শতশত আশ-শেওড়ার বুকে সহস্র
শাঁকচুন্নি করাল থাবায় খাবলিয়ে খাবলিয়ে-
খাচ্ছে বিধবা চাঁদোয়া; আমি প্রেমহীন!
আজ হৃদয়ের বুলেভার্দ, হিম মৃত্যুপুরী নিয়ে
জেগে থাকে অজস্র বিষণ্ণ রাত।
দু’ধারে তার অবারিত সারবাধা এপিটাফ।
কতগুলো নাইটিংগেল উড়ে আসে, ক্ষণিক
ত্বরায় মরা ফুল ঠোঁটে নিয়ে উড়ে যায়
উড়ে যায় কোন এক স্বর্গ রাজ্যের দিকে।।
২৯.০১.২০১৮
-ক্যারূ মানদল-
লাবাক, টেক্সাস