প্রিয় আকাশি, আজ এই উতরোল জোছনা রাতে
কেন এত লুকোচুরি?
এত কেন কানামাছি খেলা?
স্বপ্নের সায়রে বসে নুলো ভিখিরি আমি
যতটুকু মাঙ্গতে পারি তার বেশি চাইতে পারিনা।

আজ এই অনবদ্য জোছনা রাতে
ভরা ভাদরের ভরা-যৌবন সাথে
নিবেদন তোমাকে; দেখাও তোমার নধরকান্তি; সরাও
সাদা মেঘের এপ্রোন; রুপোলি ওই চাঁদ
যেন সুগভীর নাভী; আহা! কতটুকু সপ্রেম
হলে, ভরা গাঙে জোয়ার উঠে?
স্বর্নালী পাড় জুড়ে-অস্ফুট চুম্বন-
কতটুকু সপ্রেম হলে, তিরতির
কম্পনে জোছনা ঝরে?
তার হিসেব আমার মত নুলো ভিখিরি
আর কতটুকুই বা জানে?
যতটুকু মাঙ্গতে পারি তার বেশি চাইতে পারিনা।

ঠিকই হিসেব জানে কালপুরুষ; নষ্ট দেহের
সাথে তোমার মিলন অপূর্ণতায় ভরিলে
রুপোলী এ নাভী, এ নধরকান্তির শোভা, ভরা-ভাদরের
রাতে কালপুরুষের বুকে গতিশীল হয়।
তখন, সপ্রেমে উদ্দাম তুমি; বলিষ্ঠ
রতি সঙ্গমে যতটুকু ঘাম ঝরাও, তার
আধেক সিকি জোছনা হিসাবে পাই;
নুলো ভিখিরি, আধেক সিকিই স্বমেহনে সম্বল।
যতটুকু মাঙ্গতে পারি তার বেশি চাইতে পারিনা।।

০৫.১২.২০১৭
(ক্যারূ মানদল)
কুকভিল, টেনেসি