পরাজিত পারিজাত নিঃশব্দ প্রাচীরে
নিরাশ হয়ে দাঁড়ায়; অন্তঃপুরে প্রবেশ নিষেধ।
স্মৃতির বহরে কান্নার লহর
দ্রীম দ্রীম বাজে শঙ্কাভেরী
অহল্যা বেদনা বোধ আশার তরী-
ডুবিয়ে শবোদ্যানের নিশান বাতাসে-
উড়িয়ে চলে; নাইটিঙ্গেলের পালক সব
ঝরে গেছে। বীভৎস দেহের ও তল্লাটে ঠাই নেই।
ভাবনার শিয়রে বিরান দুপুরে
কথাগুলো ধূসর পটের আঁখেরে
স্থির চিত্রের মতন ভেসে উঠে;
হঠাৎ থমকে দাঁড়াই; যেমন দাঁড়ায় কালবাউশ রাত।
ক্লান্তির রূপরেখা একাকী সত্তাকে হাত জোড়
করে বলে-অনেক তো হলো,
ঢেঁড় হলো সমুদ্রের দিকে চলা
রৌদ্র ঝিলিমিলি নারকোলি দ্বীপের বত্সা।
অনেক হলো স্বপ্নে দেখা জল পরীর মৌরি।
কাঙ্গালের এ জীবন তো, খোয়াব আনাড়ি;
এবার থাম্ মাইরি, থেমে চল মরণের দেশে
হেথা মঙ্গল নৃত্য চলে কঙ্কালের বেশে।