আজ এই হেমন্তের বৃষ্টিতে তোমায় হারালেম, প্রিয়।
তুমি হয়তো চলেই যেতে, যেতে বহুদূর-
অদৃশ্যের সীমানায়, অন্য সুখের নিরালায়।
তবুও কী যেতে পারতে না, আগমনী বসন্তে?
জানো? ভেবেছিলেম হয়তো থাকবে আরও
ক'টা মাস, হৃদয়ের হিমটুকু কাটাবো
তোমারই উষ্ণতায়, তারপর, সমস্ত নিহড়
ঝরে গেলে, প্রথম ফাল্গুনের রাতে-
ধমনীতে থাকবে উষ্ণতা, প্রেম আর সুখের প্রহর।।
অথচ, তোমায় হারালেম হেমন্তের এই বিষণ্ণ বৃষ্টিতে-
প্রিয়া; সাথে নিয়ে প্রস্থান-
একি বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা দিয়ে গেলে প্রতিদান?
সেঁতসেঁতে হৃদয়ের আঙ্গিনায়-
বড় বিষণ্ণ, করুণ সে সন্ধ্যা।
এই কি চেয়েছিল বিরহী সে কবি?
যতটুকু ব্যাথার দান, বিরহ-বেদনা তার-
দিয়ে গেলে সবি।।
হিমাচল পুড়েনি, হিম আঙিনায় ঘোর অন্ধকার-
হিমা, তোমার মহিমা আজ মাহিমার কাছে থাক;
আমি প্যাথেড্রিনে লীন, অবসন্ন স্নায়ুতে একাকী মৃত্যু চাই;
হেমন্তের এই সন্ধ্যার মত করুণ এক মৃত্যু।।
১৪.১২.২০১৭
-ক্যারূ মানদল-
কুকভিল, টেনেসি