নদী বেঁচে কী নারী কেনা যায়? দুঃখের সব নদী?
তবে কিছু বিক্রি করে দিতাম খুচরো দরে।
নদীমাতৃক বুক আমার;
বড় বেশি নদী, বয়ে গেছে এ বুক চিরে।
সময় অসময়ে ডেকে আনে বান,
সময় অসময়ে ভাসিয়ে দিয়ে যায়-
আবাদি জমি, নিকোনো উঠান, সাজানো বাগান।
অতশত নদী আমার দরকার নেই
কোনকালেই ছিল না।

কী হলো? বললে না তো-
নদী বেঁচে কী নারী কেনা যায়?
-একটি ছিপছিপে শ্যামবর্ণের, ঘনকেশী নারী?
যার হৃদয় আছে, হৃদয়ে আছে ঈর্ষা
চোখেতে গভীর চাহনি, চাহনিতে ঢুলুঢুলু প্রেম।
অতশত নিটোল বক্রতা দরকার নেই
দরকার নেই আবক্ষ স্তন, বুটি নিতম্ব;
কোনকালেই দরকার ছিল না।

ধরো; ধরো, নারীটির নাম শুভ্রা
হ্যাঁ, সেই টিলাবাজারের শুভ্রা।
যার হাসির শুভ্রতায় এক অমোঘ প্রান আছে
যার কেশের স্নিগ্ধতায় এক অমোঘ ঘ্রাণ আছে
যার চোখের গভীরতায় এক অমোঘ টান আছে
যার গ্রীবাদেশে আছে এক চুম্বন কাতরতা।
যে কিনা, প্রেমিকের বোকামিতে চোখমুখ উল্টিয়ে বলে-
            “ ও তাই, তাই বুঝি?”
তারপর হাসির ফোয়ারা; ঝরঝর হাসিতে
জেসমিনের পাগলপারা ঘ্রাণ।

আমি সেই শুভ্রা কে ভালবাসার দামে কিনতে চাই;
হ্যাঁ, সেই টিলাবাজারের শুভ্রা।
তা’রে পাবার জন্যে বুকের সব-
নদী বিক্রি করে দেবো খুচরো দরে।
এইসব পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ময়ূরাক্ষী
অতশত নদী দিয়ে লাভ টা কী?
অতশত নদী আমার দরকার নেই
কোনকালেই ছিল না।।

০৭.০২.২০১৮
-ক্যারূ মানদল-
লাবাক, টেক্সাস