আমি আকাশ পাঠালেম-
আমান দিস্তায় পত্র দিও
পত্র দিও সখি, পত্র দিও;
ভালবাসার নীলরঙে একটুখানি আদর দিও।

স্বপ্নগুলো বাক্সবন্দী, কলার ভেলায় ভাসালেম-
তুমি ভাঁটির কন্যা, ভুল কোরে তোমার ঘাটে থামিলে
মমতায় সাথে নিও, -বিহঙ্গে রুপ দিও
বিহঙ্গে রুপ দিও সখি, বিহঙ্গে রুপ দিও;
স্বপ্নগুলোর পালকে একটুখানি আদর দিও।

সুখগুলো নিঃসঙ্গ, বাতাসে গেঁথে দিলেম-
কোন এক একাকী বিকেলে
উদাস চুলে ঢেউ তুলিলে, সুখগুলোকে বুকে নিও
বুকে নিও সখি, বুকে নিও;
নিঃসঙ্গ সুখগুলো কে একটুখানি আদর দিও।

দেবে তো?
আকাশের বুকে পত্র? বিহঙ্গের রুপ?
অনাদরে বেড়ে উঠা সুখগুলোকে ভালবাসা?
চাইলেই পারো দিতে; তোমার ওই উচ্ছাসে ভরা জীবনে সবকিছুই অঢেল
একরত্তি চাওয়া মোর, তব কাছে নস্যি;
হাহ! তবুও দেবে না জানি।
গত শতাব্দীর শেষ থেকে নতজানু আমি
কামনা, মিনতি, করুনা-ভিক্ষা, এটা-সেটা
আরো কতকিছু নিবেদন-
সবকিছুই ফিরতি খামে ফেরত এসেছে।
জীবনের শেষ গোধূলীতে এপিটাফ পাঠাবো, দেখো;
খোদাই করে লেখা থাকবে-
             “ বন্ধু বিদায়”
করুণা করে অন্তত সেদিন, ঘরে তুলে নিও?
ভালবেসে একটিবার- দুঃফোটা চোখের জল ফেলিও?

১১.০২.২০১৮
-ক্যারূ মানদল-
লাবাক, টেক্সাস