হিমা;
তোমার মহিমা স্থির ধ্রুবতারা;
আমি উদ্ভ্রান্ত নাবিক, কানাভোলার রাতে তুমিই দাও সারা।
তুমি আলোর দিশারী, ঘোর অন্ধকারে শেষ ভরসা;
ত্রাসের নগরে বহত আনাড়ি আমি
তুমিই দেখাও পথ, বেঁচে থাকার আশা।
হিমা;
তুমি প্রশান্তের বুকে তাহিতি-মাকাটিয়া
স্বচ্ছ স্ফটিক বোরা-বোরা দ্বীপ-
সাগরেরই টিপ; আমি দূরতম
নিঃসঙ্গ ঢেঊ, শততম শতাব্দী ধরে চলেছি ছুটিয়া।
শুধু একটিবার নিঃশব্দে তোমার পদ চুম্বন; এতটুকুই আশা।
হিমা;
তুমি বৈকুণ্ঠের মজলিসে ঝাঁপতাল
-সূর, বাণী, ঢোমকী নাচের উন্মাতাল;
তুমি গান্ধার, তুমি কৌরব
দ্রুত লয়ে গাওয়া ভৈরবী সৌরভ।
আমি বেসুরো শ্রোতা, তব সুরে পাই ভাষা।
হিমা;
তুমি শান্ত দীঘীর জলে একটি উচ্ছ্বল-
রাজহাঁস।
কোন এক পরন্ত বিকেলে-
সবকিছু স্থির হয়ে এলে
তুমি জলকেলি, তুমি মৃদু কোলাহল;
আমি ভাসমান কলমি, তুমি ভেসে থাকার পূর্বাশা।
হিমা;
তুমি পরী, তুমি দেবী; দেবতার আরাধনা
অমরায় এমারান্থ।
ট্রয় নগরের হেলেন, মিশরে ক্লিওপেট্রা;
তুমিই মনরোর হেয়ালি-
দালির আঁকা সময়ের অর্কেষ্ট্রা।
আমি নেইভ, প্রেমশীলায় খেয়ালী;
আমাকে গ্রহন করো, আজলায় দাও ভালবাসা।।
২০.০১.২০১৮
(ক্যারূ মানদল)
লাবাক, টেক্সাস