হঠাৎ এক চৈত্রের ভীষণ-নিরব দুপুরে
কোন এক রাত জাগা পাখি
কুহু সুরে কেঁদে উঠলে-
মনে পড়ে, তুমি একলা ছিলে, খুবই একলা ছিলে।
সন্তাপী বোশেখের পড়ন্ত বিকেলে
সবকিছু নীরব হয়ে এলে
যখন তোমার কপোলের নীল টিপ
খসে পড়ে ছিল, জানি ওবেলাতে-
পাশে কেউ ছিল না তোমার।
ভীষণ একলা ছিলে তুমি, ভীষণ একলা ছিলে।
হঠাৎ এক ঝরঝর বাদল দিনে
বর্ষণ তাড়নে কদমের পাপড়ি-
ঝরে পড়ে গেলে
মনে পড়ে, জানালার শার্সিতে রেখে চোখ
খুব করে কেঁদেছিলে, তুমি খুব কেঁদেছিলে।
বিগত হেমন্তের ঝরা পাতার রাতে
টুপটাপ নিহড় ঝড়ে গেলে
ঝোনাকীর বনে নীল শাড়ী পরে
একলাই হেঁটে ছিলে, তুমি একলা হেঁটে ছিলে।
ভরা বাদরের ঘন তমস্যা রাতে
যখন সাঁই সাঁই খসেছিল তারা
সবাই কামনাতে ছিল ভীষণ ব্যস্ত
তখন তুমি খুব নীরব ছিলে।
হলুদ নদীর তীরে একলা বসেছিলে-
একলা বসেছিলে তুমি, একলা বসে ছিলে।
একলা থাকাই বুঝি তোমার শখ, হিমাঞ্জনা?
নাকী তোমার একাকীত্বে নীল বেদনারা পায় স্বান্তনা?
জানো হিমাঞ্জনা, আমিও ভীষণ একা।
তোমার মত আমিও নীল বেদনা
পুষে রাখি একাকীত্বের সঙ্গী করে।
এরপর যখন আবার
সময় হবে একলা থাকার
আমাকেও সাথে নিও; দু’জনাতে নাহয়
নীল বেদনা বদল কোরে, থাকব ভীষণ একা !
২৫.০২.২০১৮
-ক্যারূ মানদল-
লাবাক, টেক্সাস