চন্দ্রনীলা, মেঘেদের সফেদ তীরে তুমি চাঁদফুল হও
আমি জোছনার নদী পথে বাইবো রূপোলি সে পানসি
তুমি ছড়াবে সৌরভ-রূপ, আমি হারাবো পথ দূর আকাশি।
শুভ্রতায় ভয় নেই, নেই ডর সৌরভে।
যে রুপের মোহ আকাশের কার্নিশে
মঞ্জরিনি পাপড়ির মত নিরবে ঝরিছে
তাতে কাফেলার কোন্ কবি মাতাল হয়নি সে?
আমিও মাতাল হব, হারাবো পথ দূর মহিমার দেশে।
কবেকার কোথাকার শুভ্রার আকাশে
দূর অবারিত মেঘমাঠ তুলতুলে সাদা ফোম
বুকে নিয়ে ভেসে আসে।
তারপর বদলায় রুপ, নরোম তুলোর বেশে।
অদূরে উত্তরীয় রুপাঙ্গী ছেড়ে ঝাউবন চূড়ায়
পেঁজা মেঘের পাহাড় ঠিকড়ায়ে উঠে;
ঝিকিমিকি রুপোলী জোছনায় মেলে পাপড়ি
তারপর হঠাৎ এক পথভোলা বাতাসে-
মেঘেদের পাহাড় সম্বিৎ ফিরে পেলে
হয়ে যায় চুপ, অন্ধকার উপত্যকায়-
ঘোড়া দৌড়ায় একপাল কাউবয়।
সাদা ঘোড়ার খুরে সূর বাজে ঘটাংঘট
তারপর চলে যায়, চলে যায় প্রেয়সীর দেশে।
রেখে যায় ম্লান মায়াবী রাত-
আকাশে-বাতাসে, মেঘমাঠেদের পাশে।
স্থবির উপত্যকায় আর থাকেনা সূর, নির্জীব মেঘ-পাহাড়
নিরবে ম’রে গেলে বিজন জোছনার ঘাটে
পানসি ভিড়ায় নিরব কিশোর।
তারপর রাতও যে যায় চলে, কত ম্লান ভাদরের রাত;
সাদা ঘোড়াদের দেখানো পথ ধরে।
এরপর বহুযুগ একাকী সন্ন্যাসীর বেশে
বিজন জোছনার ঘাটে নিরবে কাঁদে অবুঝ কিশোর
আকাশে-বাতাসে, মেঘমাঠেদের দেশে
তুমি শোন নি’ক সে কান্নার সূর, হে চন্দ্রনীলা?
শুনতে যদি পাও, তবে মেঘেদের তীরে চাঁদফুল হও
আমি জোছনার নদী পথে বাইবো সে পানসি
তুমি ছড়াও সৌরভ-রুপ, আমি হারাবো পথ দূর আকাশি।
৩১.০৩.২০১৮
-ক্যারূ মানদল-
লাবাক, টেক্সাস