বেদনার হৃদয়ে প্রেম রেখে যে পাখি
উড়ে গেছে, সেতো জানে না
কত আকালের মৌসুমে সে-
পরিযায়ী হয়ে এসেছিলো, কত ভুল ছিল তার?
অথবা আমার?
অনায়াসে আজ সে প্রেম উবে গেছে
নিশাদল এর মত। চৈত্রের-
উপুর করা দুপুরে যেমন
উবে যায় মৃত্তিকার শ্বাস।

পাখিটিকে জানানো যায়নি
জানানো যাবে কী আবার?
সে কী ফিরিবে? ফিরিবে কী আর?
কোনদিন এই পোড়া হৃদয়ের
মৃত্তিকার ঘ্রাণ তাকে আর কী টানিবেনা?
টানিবেনা, টানিবেনা কী আর?

যে ঝাউ বনের ক্যানোপি ধরে সে উড়ে গেছে
সেই ঝাউ বনের পানে চেয়ে থেকে থেকে
আজ আমি অন্ধ।
কায়াবিথি সমান্তরালে যে শেওড়ার বন
সেখানে হুতোম পেঁচা কুহু সুরে কাঁদে
সেও বুঝি আমার মত অন্ধ?

হে অবোধ পেঁচা, ওই ঝাউ বনের শেষ কোথায়?
কোথায় সেই পাইনের বন? রাইন, সাইবেরিয়া?
শুনেছিলেম, ওই সেই পাইনের বনে
আছে সাইতরীর নগরী, ইঁদুরের ঝোপ, খরগোশের টিলা
হরিণীদের ঝর্না আর মীনদের ভিলা।
ওইখানে আছে সে।
অন্য কোন এক বেদনার হৃদয়ে পরিযায়ী হয়ে
বিলাতেছে প্রেম অম্লান বদনে।
হয়তো ওইখানে আকাল নেই, নেই ভালবাসার মঙ্গা
অপ্রেম শুষে নেয় না মৃত্তিকার শ্বাস।
শোন, বিরহী পেঁচা, তুমি কি যাবে ওইখানে?
দিবে কি পাড়ি হিমালয়, তিব্বতের উষ্ণ বাতাস?

১৯.০২.২০১৮
-ক্যারূ মানদল-
লাবাক, টেক্সাস