অশ্বত্থের ডালে বসে ব্যর্থ প্রচেষ্টায়
শেষবারের মতো ডেকে উড়ে গেছে পেঁচা ।
কৃষ্ণা দ্বাদশীর চাঁদ ডুবে গেলে পর,
ক্লান্ত রাত্রি নিঝুম হয় শহরময় ।
মাঝে মাঝে শোনা যায়
দু একটা অসংলগ্ন অশ্রাব্য কথা,
দু এক জন রিক্সাওয়ালা বিড়ি খায়
পরস্পরের দিকে তাকায়,
তারপর মাথা নিচু করে লজ্জায়,
স্তূপীকৃত বেজন্মার
বাধ্যত মুক -বধির সাক্ষী তারা ।
সাড়ি সাড়ি জুতোর ভিড়ে
ঘাড় গুঁজে শুয়ে থাকা কুকুর
অসহায় আর্ত শীৎকারে জেগে উঠে
নিজেকে পশু ভেবে গর্বিত হয়ে;
এ নিদারুণ শীতে গুমট অন্ধকারে
হাঁটতে থাকে পূর্ব দিকে বরাবর নির্দিধায় ।
ল্যাম্প পোষ্টের শেষ আলো
মিলিয়ে গেছে যৌন কুয়াশায়,
ফুলের আঁশটে গন্ধ
তবু ধরে রেখেছে অন্ধকার
প্রেমচাঁদ বড়াল স্ট্রীট থেকে কালিঘাট।
অন্ধকারে অবলীন সৃষ্টি স্বাদ
কোন দিন জানিবে না তার ,
এই জেনে ;
বাসা ছেড়ে বেরিয়ে আসে কাক,
ফুটপাতে শুয়ে শেষ রাতে বেজন্মা যুবক
রাজা ওয়াদিপাউসের স্বপ্ন দেখে আঁতকে উঠে;
কুমড়ো ফুলের কথা ভাবতে ভাবতে হাঁটতে থাকে
যে দিকে গিয়েছে গর্বিত শীর্ণ কুকুর ।