জিঘাংসু ভাইয়ের পাশে শুয়ে প্রতিরাতে স্বপ্নে দেখা অভ্যাসবসত,
বুদ্ধের চোখের আভা; এ পৃথিবী শান্তিময় হবে, দশদিক উৎসবে
মুখরিত হবে - মানবিক গানে, বৈপ্লবিক রূপান্তরে,রসায়নে,ভাবে ,
মননে, সেই দিন অন্তর্লীন ইপিকুরাস তত্ত্ব ধুলিসাৎ হবে বাধ্যত ;
উপসাগরীয় সমুদ্রের রক্তাক্ত জলে ভেজা অলিভ পাতা স্বভাবত
আবারও সাদা হবে, অসুস্থ বিঞ্জান স্মৃতির অতল থেকে মুছে যাবে,
যার আর্ত শীৎকারে;এ পৃথিবী কেঁদে ওঠে,অসুখে বা আয়ুর অভাবে
এ অনূরু সভ্যতায়,যেখানে আজো দেবদাসী নরক ভোগে প্রতিরাত ।
তবু, সহস্র সভ্যতার পরে, এই একবিংশ শতাব্দীর সূচনায়,
দিনগুলি তার রাত্রির মতো অন্ধকার,আর রাত্রি নরকের মতন।
তাই,সর্বত্রই কমবেশী ভূক্তভোগীর মনে জেগেছে সন্দেহ সংশয়-
'এ অসম্ভব! অসম্ভব!' তবে,বুকে হাত রেখে নাভিমূল থেকে বলুন,
'এ বিশ্ব কেবলই ইতরময়'- একে এক মিলে দুই হয়; বাঁচে প্রণয়,
যে প্রেম খেলা করে শ্রেষ্ঠ বিস্ময়ে প্রেমিকার চুম্বন থেকে মেরীর স্তন ।