রেইনি ওয়াটার নিষ্কাশনের পাইপ চুঁইয়ে—
ফোঁটায় ফোঁটায় জল পড়ছিল,
তৃষ্ণার্ত দাঁড়-কাক—
চারদিকে সর্তক নজর বুলিয়ে,
তৃষ্ণা নিবারণে ব্যস্ত ছিল ।
তুমিও ব্যস্ত ছিলে, তোমার মতো—
আলাস্কা, ভেনকুভার, সানফ্রানসিস্কো হয়ে শিকাগো
দীর্ঘ যাত্রাপথের ক্লান্তি—
তোমার চোখ-মুখ উপছে পড়ছিলো,
রকি মাউন্টেন মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্টে দীর্ঘ স্টপওভারে,
এয়ারওয়েজের আতিথেয়তায় ক্লান্ত দেহে—
কখনো গভীর ঘুমে, কখনো তন্দ্রাচ্ছন্নতায়
এলিয়ে পড়ছিলে বারে বার।
পশ্চিম জানালার ওপাড়ে—
হঠাৎ সচকিত হয়ে উঠে দাঁড় কাক,
অবোধগম্য ভাষায় আর্তনাদ করে—
আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে তোলে,
মনের গহিন কোনে কি যেন ভয়!
কি যেন সংশয়!
ঝড়ের পূর্বাভাস যেন হৃদয়ের ঈশান কোনে—
দূর দিগন্ত থেকে ভেসে আসা গীর্জার ঢং ঢং ধ্বনি—
আমার পাঁজর-কফিনে যেন পেরেক ঠোকে,
আতঙ্কের হিম প্রবাহ নামে শিরদাঁড়া বেয়ে,
ধীরে ধীরে সমস্ত অনুভূতি নিস্তেজ হয়ে আসে—
স্মৃতিতে থাকে সেই দাঁড় কাক,
আর বুকচিরে বেড়িয়ে আসা সকরুণ আর্তনাদ।।