একদিন দেখিলাম ফেরীওয়ালা এক
হঠাৎ চকিতে পথচলায়,
মনের অজান্তে সে দৃষ্টি আবার
তারই পানে ফিরে যায়।
আশ্চর্য্য হয়ে দেখিলাম যা
কেঁপে উঠেছিল অন্তর মন,
ফেরীওয়ালারূপে দেখেছি যারে—
একদিন, সমাজপতি ছিল সে’জন।
স্নিগ্ধ, কোমল, ফুরফুরে হাওয়ায়—
মিষ্টি এক বিকেলে, বন্ধুর আহ্বানে—
রসনা বিলাসে ব্রত হয়েছিলাম,
চটপটি, ফুসকা, হালিমের দোকানে।
খাবার শেষে বিল দেবার বেলা—
চোখ উঠে গেল কপালে—
তিনটি দোকানের মালিক এক
পেঁয়াজ কাটছিল, অবনত মস্তকে।
জনপ্রিয় এক নায়িকার বিশেষ সংবাদে
পত্রিকার পাতায় নজর আটকে যায়
সেদিনের সেই তন্বী রূপসী
দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা চায়।
কালের সেনসেশন, জনপ্রিয় নায়ক
শৌর্য-বির্য আভিজাত্যের অহংকার
ক্যান্সার নামক জীবননাশী
করে তারে জীর্ণ কঙ্কালসার।
কয়েক যুগের দোর্দন্ড প্রতাপশালী
সময়ের সিংহ পুরুষ, তেজোদ্যীপ্ত মহাবীর
মহান রাজাধিরাজের ঔদ্ধত্য কত—
জনতার পদপৃষ্ঠে হয়েছে নিবিড়।
মানুষ ভুলে যায়, আত্মপরিচয়!
ইতিহাস তবুও বারে বারে শিখায়—
কিসের অহংকার! সৃষ্টি যাদের একফোঁটা রক্তে—
শেষ পরিণতি তুচ্ছাতিতুচ্ছ মৃত্তিকায়!!