শিক্ষা, পাপিষ্টের পদদলিতে আজ রক্তাক্ত।
মাথায় ব্যান্ডেজ, পায়ে ব্যান্ডেজ,আদর্শের ইউমিনিটি অতি দুর্বল,
রক্তের প্রয়োজন, কিন্তু সেই রক্তেও ভেজাল,পাপিষ্ঠের ছোঁয়া।
শিক্ষা, পাপিষ্ঠের পিটুনি খেয়ে আজ রক্তাক্ত,
বুকের ভেতর চরম আঘাত পেয়েছে, হয়েছে ফুসফুসের রক্তক্ষরণ, অক্সিজেন সরবরাহ করা দরকার, কিন্তু সেই অক্সিজেন পাপিষ্টের কারখানা থেকে আনা, পাপের ছোঁয়া, ফুসফুসের শ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে।
শিক্ষা, পাপিষ্ঠের হাতের লাঠির আঘাতে আজ রক্তাক্ত।
মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে, ভেঙে গেছে তার পাঁজরের হাড়,
এক্স-রে করা হয়েছে, করা হয়েছে রক্ত পরিক্ষা, শিক্ষিত গুনি ডাক্তার মাকাল ফল বর্ননা দিলেন, জোড়া লাগাতে হবে নিরিক্ষার পরে, কিন্তু তা করবেন তার পাপিষ্ট নার্স। আঙুর যতখানি আসবে তা দুজনেরই হক, এটাই তার যুক্তি, পাপিষ্টের দয়ায় তার মুক্তি।
শিক্ষা,পাপিষ্ঠের অত্যাচারে অতিষ্ট সারা গায়ে ক্ষত, পচন ধরেছে, গন্ধ বের হচ্ছে,
মলম, ঔষধ দিয়ে সারানো যায় নি।
ক্যান্সার হয়েছে, হয়েছে মস্তকে ইয়া বড় এক টিউমার,সারানো যাবে না, যতদিন বেঁচে থাকো পাপিষ্টের দয়ায় বেঁচে থাকো আমি বলে দিবো।
মরবেনা না তো পাপিষ্টের অনুকূলে থেকে সারা জনম কাটাতে হবে, পাপিষ্ট এখন বড় কর্তা, সেই এখন এদেশের স্রষ্ঠা।
স্রষ্টা কি গো?
তার বুজি মান আছে ?
কাউকে দিয়েছে সে প্রাণ?
---না না তা হবে কেন!
স্রষ্টা হলো তো সে, যার আছে পয়সা,লাল লাঠি মিছিল, তেক্ত আঙুর উৎপাদনের খামার।
যে শিক্ষার হাড় জোড়া লাগাতে সুপারিশ দরকার পড়ে পাপিষ্টের।
বেচারা শিক্ষা নির্ভাক হয়ে চুপ করে রইলো, পাপিষ্টের জগতে পুণ্যের মান নেই।
জাগতিক ঘুমের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে,
স্তব্ধ হয়ে থাক শিক্ষা, থাক না নতুন সূর্যের আলোর অপেক্ষায়।
থাকনা পাপিষ্টের ধংসের পহ্ন চাহিয়া।
২৯শে ফাল্গুন ১৪২৭ বাংলা