হঠাৎ বয়ে যাওয়া বাতাস
আর পাতারা শুরুকরে কথা।
রাত্রির অন্ধকার শেষে
ভোরের আলোয় শিশির ভেজা,
নবজন্মা পল্লব যেন
চোখ খুলে দেখে বৃক্ষশাখা।
তার দিকে দৃষ্টি ফেরে
প্রশাখার বয়সী পাতা
তাকিয়ে থাকে লাল সূর্য।
পাতারা বলে- ওহে পল্লব,
জানিস নাতো এ বৃক্ষের কথা,
জানিস নাতো ঐ বাতাসের ভাষা।
পল্লব বলে- জানতে চাই,
জানাও মোরে সব ইতিকথা।
পত্র বলে- কত পাতা গেল,
কত পাতা এলো,
শুন্ বলি,
শুরু করি কোথা।
পত্র শুরু করে-
দেখ্ হে পল্লব,
ওরে দেখ্, ঐ নিচে,
বাদামী মরে যাওয়া পত্রদের
ছিল যারা মোরও আগে,
একদিন থাকব না আমি, থাকবে তুমি,
পরে থাকবেনা তুমি, আসবে আগামী
এভাবে চলতে থাকবে,
এক ঋতু আসে তো এক ঋতু যাবে
ঐ বাদামী পাতারা বলেছিল মোরে,
এ গাছ কিভাবে গড়ে উঠে,
কত ঝঞ্ঝাট, কত ঝড়-বৃষ্টি,
কত রোদ খরায় এ সব সৃষ্টি
কিভাবে গাব গান,
কিভাবে ভেসে যাব-
এ বাতাসের তরে।
কিভাবে পোকারা পাতা ফুটো করে,
কিভাবে পাতারা অকালে ঝরে পরে