বিশেষ কিছু নয়,সামান্য কিছু বলার ছিলো।
ইচ্ছে ছিলো রাত গুনার প্রহর পার করবো একসাথে
অপেক্ষার ওপারে তোমায় নিয়ে থাকবো তিন বছর
অতঃপর না হয় বিয়ে?
চিঠির বেলা পার হলো,পার হলো আট বছর
কাঁদার আকাংখা শেষ হলো
শেষ হলো ভুলের মাশুল।
চিঠির প্রস্তুতি চলছিলো
কলমের কালি অপেক্ষায় ছিলো তোমার প্রশংসার।
সেদিনের বৃষ্টি, রোদমাখা বেলা আর তুমি
সবছিলো একাচ্ছন্ন আমার চোখে।
সাহিত্যের অাঙিনায় তোমায় নিয়ে লিখা ছিলো কত কথা!
জানো তুমি? আমার সেই মিষ্টি ব্যাথা?জানো?
মৃত্যু মহাশয় যদি চলে আসতো কি করতে?
কাঁদতে? নাকি কাঁদার ভান করে চলে যেতে?
নাকি???
মুখ লুকিয়ে অন্যের হাতে হাত রেখে পালিয়ে যেতে?
নেহাত কথা যে সত্য,পালিয়েছো যে।
তবে চিঠি টা ফেলে দিয়ে অদুর প্রান্তে।
শোনো মিষ্টি করে ডাক দেবোনা আর,
তৃষ্হা কেটে গেলে চলে এসো
বেলি ফুল পেরে দেবো মুঠো ভরে।
চোখে চোখ রেখোনা
শুধু চিঠি নিয়ে চলে যেও গন্তব্যে।
জীবন্ত বেচে আছি এর ই আলোয়
কবে যেনো শেষ হয়ে যায় চিঠির বেলা,
কালিটাও শুখিয়ে যাবে তবে কাঠ হবোনা
লোহার মত শক্ত মানবকে দেখতে পারবে তো?
চিঠির পৃষ্ঠা গুনেছো? নাকি আনমনে শুধু পড়েছো?
তোমার এই কলমের কালি শুখিয়ে গেলে
চিঠি আর দেবোনা,ভয় পেওনা
বেজায় মনমরা হয়ে হারাবো আমি
গৃহহীন কোনো পাড়ায় মৃতের সংশয়ে।
ভাবছিলাম, পাতায় পাতায় চিঠি দিলে কেমন হয়
পড়ে বেলা শেষে উড়িয়ে দিও নাহয়!
নাকি কাগজের সৃষ্টি ঘুড়ির মাঝে লিখে দিবো কিনা!
তুমি যদি রাগ করো?ভয় কাবু করবে যে আমায়।
নীরবে নিঃশ্বাস নিও,ভুল হলে ক্ষমা দিও
চিঠি পাঠিয়ে দিবো
বৃষ্টিতে ভিজে গেলে ছিড়ে ফেলো
কষ্ট করো না,ভালোই থেকো।