আমার বেজোড় আঙিনায় তল্লাশি
চোখে কালো চশমা,পকেটে দিয়াশলাই
হাতের মুঠোয় ধূসর রাতের ছাই
পুড়ন্ত ছাই, যার গন্ধে ফাঁকা ঘরের আভাস।
বাড়ির দো-তলায় কাক ডাকতো সময় করে তিন দিন
সেদিন ও কড়কড়ে রোদে তার দেখা মিলেছিলো
অথচ পরদিন ভোরেই শুরু হলো
মড়মড়ে লুকানো শব্দ স্রোতের কান্না।
তল্লাশী!
এই তো সেই শব্দ ময় চিৎকার!
আঁতকে উঠে দেখি,এ চিৎকার মনের ভিতরকার।
এ চিৎকার,আদুরে আলোর মাঝে খামচে ধরা ভয়
এ ভয় কারো আঙিনার ভেতরের অন্ধকার।
সাত দিন বাদে ছাড়া পাবো ভেবে ঘর ছাড়া আমি
আজ পথিক কেবল ভোরে ভোরে ঘুরি
সন্ধ্যায় এক জ্বলন্ত আগুনের ধোঁয়া ছেড়ে দি
শান্ত সব যে শান্ত!
শান্তির প্রজ্বলন হয় নাটকীয়তায়
কিন্তু-
সাত দিনের নিষ্ঠুর তল্লাশী কি শেষ হয়েছে রে?
এ অবাক অভিমানও করে বিচার
খুঁজে না পেয়ে তার
এসে যায় বিদায় বেলার হার
বেজোড় বেজোড়ে যত যন্ত্রণা
কুড়িয়ে নেয় মাটির আর্ত চিৎকার।