সারিবদ্ধ সুতোর জোড়াতালি কারুকাজে
রিক্ততার চিত্রবাহী পাদুকার সুখতুলি খাঁজে
একরাশ বুনোঘাস দলিত মত্থিত হল
নীল রং শরতের পলাতক ভোরে।
পিছু ফিরে দেখলো না কেউ; তার বিলুপ্ত অবকাশে
চিল ডানা মেঘরাশি ছুটে চলে যায় রোদে সাদা ব্যস্ত সহিসে,
ছায়াপথ জুড়ে পড়ে থাকে পথিকের পাদুকার রেশ, আর কিছু অতীত অবশেষ
ভবিষ্য উপদেশে ঝুলি ভরা থাকে; বাদ বাকি আশ্রিত কাগজের জমি খসখসে,
নৈশব্দ গাহনে চাপা মায়াবী নিরুদ্দেশে পাড়ি দেয়
জমা হয়ে সময়ের খাকি খামদেশে ।
দুই তীরে ইরাবতী গোলপাতা কাশফুল বুনে তারপরও
লোর স্নানে হাতছানি দিয়ে ডেকে বলে, “এসো, সংসার করো,
তোমাতে আমাতে আর আমাদের জলস্রোতে
জ্যোছনার রাত ফুল ঢেউ ভেঙ্গে স্বপ্নালু হবে সব কূলে,
শতদল নির্যাসে নবীন পত্ররাশে সাজবে মলিন যত
প্রকৃতি হয়েছে ক্ষত নির্ঝরা বেসামাল শেষ মেঘমাসে।“