দূর আকাশের নিলীন নক্ষত্রটি আমাকে ডাকে
সাড়া দিই, কথা বলি, বন্ধু হয়ে যাই।
ভাব হয়ে যায় ধানক্ষেতের গান্ধী পোকাটির সাথেও!
জল দেখলেই এখনও অনবধানে খুঁজি সাপমাথার গয়ার।
হিমালয়ের বুকে শুনি নিরবতার গান
ভোরের নতুন আলোয় ঘাসফুলে প্রাণ।
স্বপ্নবাজ অপু হয়ে কল্পনার আলপনা আঁকি আমি
পথের কবির মতো অন্ধকারে মিশে যাই নিরন্তর।
ফাগুনী পূর্ণিমা বা বৈশাখী ঝড় দুইই আমার চেনা
তিস্তাপাড়ের প্রতিটি বালুকণার গাথাও জানি আমি।
বনলতার গন্ধতরঙ্গে গন্ধগোকুল হই, উজানে ভাটিতে
ইচ্ছে করেই ফাঁদে জড়াই, সুবাসিত মধুচক্রে ।
এসবের সাথেই আমার আশৈশবের আত্মযোগ
অবসন্ন আলস্যে বুক ফুঁড়ে যারা বের হয় কবিতা হয়ে।