সে যে ফাগুনেরই পলাশ শাখে
কুহুকুহু মূর্ছনা,
সে যে বসন্তেরই ফুল্ল শাখি
ঘন নীল অঞ্জনা।
সে যে সূর্যমুখীর ফুলের ওপর
ভ্রমরেরই গুঞ্জনা,
সে যে শীর্ণধারা নদীর ওপর
ঝর্ণাধারার শিঞ্জনা।
সে যে হেমন্তেরই শিউলী শাখে
হারিয়ে যাওয়া যন্ত্রণা,
সে যে কাঞ্চনেরই ফুলের মাঝে
বুজিয়ে যাওয়া বঞ্চনা।
সে যে হৈম ধানের শীষের ওপর
উড়ি-উড়ি চন্দনা,
সে যে ঝুমকো লতার ঝোপের ওপর
নবীন আলোর মন্ত্রণা।
সে যে কন্টকিত ধরাধামে
নতুন দিনের খঞ্জনা,
কণ্ঠে তাহার উচ্ছ্বসিত
নবজীবনের বন্দনা।
সে কি বুনো ফুলের ঝোপের থেকে
ভেসে আসা গন্ধ না?
সে কি ঝিরিঝিরি হাওয়ায় ভাসা
বুলবুলিরও ছন্দ না?
সে যে গন্ধরাজের শীর্ণ শাখে
নবীন পাতার স্পন্দনা,
সে যে আশা ভালোবাসা
জীবনেরই বন্দনা।