সেদিন নাটকীয়তা ছিল না,
সবাই যেভাবে আসে,পরিচিত হয়—তুমি বরং আরও সাধারণভাবে এসেছিলে।
হয়তো এই অ-নাটকীয়তাই সবচেয়ে বড় নাটকীয়তা!
হয়তো তোমার আগমন-ই সবচেয়ে বড় কাকতালীয়তা!
আজ যেমন লিখতে বসে আমার হাত কাঁপছে,
কম্পন সেদিনও ছিলো—তুমিই আঙুলে হাত রেখেছিলে,তুমিই দোটানা-কে ঠেলে দিয়ে আশ্বস্ত করেছিলে,স্বপ্ন তুমিই দেখিয়েছিলে বারবার,
আমি দেখি নি!
আর এখন,এতো অভিযোগ বা অভিমান যাই বলো—
এ-কি সেদিনের সাথে অসামঞ্জস্য নয়?এ-কি তোমার মসৃণ হাত আর গভীরতম চোখের দেওয়া সেই আশ্বাসের পরিপন্থী নয়?বলো!
তুমিই তো বলেছিলে—প্রেম নয়,একসাথে বাঁচতে চাও!
আর এখন?এখনো বাঁচতে চাও তবে একসাথে নয়,শুধু বাঁচতে চাও।তুমি শুধু বাঁচতে চাও!
হা!হা! বাঁচতে তো তুমি চাও-ই!
নদীর সেই বাঁধানো পাড় থেকে বাঁচতে চাও।
টঙ আর রিকশা থেকে বাঁচতে চাও।
পাশে হেঁটেছিলে যে ফুটপথে তা থেকে বাঁচতে চাও।
যে কাঁধে মাথা রেখে শান্ত করেছিলে চঞ্চল হৃদয়কে, বাঁচতে চাও সে কাঁধ থেকে—আমার থেকে!
খোলা হওয়ায় যতটা নিশ্বাস নিয়েছো একসাথে,তা থেকেও কি বাঁচতে চাও?
পারবে?
মস্তিষ্কের অবাধ্য স্ফুলিঙ্গ বাঁচতে দেবে?
তবু,তুমি বাঁচো!
আমি তো আর গলা চেপে ধরিনি!
শ্বাসরোধ তো দূরে থাক,নিঃশ্বাসে কষ্ট হবে তাই কখনো সামনে দাড়াই নি—
শুধু অধিকার চেয়েছিলাম।অধিকার।