পৃথিবী এক বিষন্ন নেক্রপলিস।
টাইম স্কয়ার কিংবা অক্সফোর্ড স্ট্রিট,ল্যুভে মিউজিয়াম,পুয়ের্তা দেল সোল, ব্র্যান্ডেনবার্গ গেট আর ইস্তাম্বুলের গ্রান্ড বাজার আজ ধরনীর ফুসফুসে এক ক্ষতের মতো হয়ে আছে।
জনশূণ্য হয়েছে সেন্ট পিটারস স্কয়ার,মসজিদুল হারাম আর তার পাশের ফার্স্ট রিংরোড এবং জেরুজালেম।
ভাল নেই কেউ।
ব্যক্তি থেকে প্রতিষ্ঠান,কলকারখানা আর তার শ্রমিক,শহর থেকে শহর,গৃহহীন শিশু আর ভূমিহীন কৃষক—
ভাল নেই কেউ।
বাস্তুতন্ত্র থেকে বাস্তুতন্ত্র,ভূখন্ড থেকে ভূখন্ড,আমাদের সম্পূর্ণ বায়ুমন্ডলেই এখন শুধু মৃত্যু আর উৎকন্ঠা।
তবু এই প্রলয়কালে,এতো মৃত্যুভয়ে—
হুডসন থেকে ক্যারিবীয়,মেডিটেরিয়ান থেকে আরব সাগর এবং ব্যারেন্টস থেকে পূর্ব সাইবেরিয়ান সাগর ঘিরে রাখা সর্বত্র;
স্টেথোস্কোপ গলায় ডাক্তার,বাঁশি হাতে পুলিশ,খাবার হাতে সেচ্ছাসেবক,রাস্তায় বেড়িয়ে আসা জনপ্রতিনিধি যতটা মানবিকতা দেখিয়েছে তা বঙ্গোপসাগর পেরিয়ে আমার এ বদ্বীপে আসে নি।
একেবারে যে আসে নি তা নয়,এসেছিলো;টিকতে পরে নি!
এখানে ডাক্তার মরে গেছে চিকিৎসার অভাবে।
এখানে নার্স দমে গেছে যাবতীয় নিরাপত্তার অভাবে।
এবং সেচ্ছাসেবক থেমে গেছে সাপ্লাইয়ের অভাবে।
সমুদয় সামরিক-আধাসামরিক বাহিনীও বড় ক্লান্ত,
শুধু টিকে গেছে চালচোর,তেলচোর আর পুকুরচোর—
উত্তর থেকে দক্ষিণে,পূর্ব থেকে পশ্চিমে!