আমার ভীষণ অসুখ,
ঘামছি,থেমে-থেমে কম্পিত হচ্ছে আমার শরীর,চোখে ভাসছে অনাকাঙ্খিত ছবি,প্রলাপ বকছি অনবরত,আর—
অনাগত ভয় হৃদয়কে ক্রমাগত ভারী করে তুলছে।
আমার ভীষণ অসুখ,
আলস্য কিংবা একাকীত্ব পেয়ে বসেছে,
ধুলি-জমা বিছানা,একঘেয়ে জানালা আর নিষ্ঠুর দেয়াল আমায় হত্যা করছে;
বন্ধ হয়ে আসছে নিশ্বাস,
ক্রমশ বন্ধ হয়ে আসছে চোখ।
আমার ভীষণ অসুখ।
ফিরে যাও তুমি,আজ—
টাইগ্রিসের তীরে বসে,
বাগদাদের বিকাল দেখা হবে না।
ব্যাবিলনের মূর্তি দেখা হবে না।
আসিরীয় পিকটোগ্রাফি,আজ আর দেখা হবে না।
ফিরে যাও তুমি,
আমার ভীষণ অসুখ।
হেঁটো না আর আমার মাথায়!


কিন্তু,মস্তিষ্কের এই তীব্র ব্যাথা যেদিন ছিলো না,
হৃদয়ের আকস্মিক স্তব্ধতা যেদিন ছিলো না,
তুমি জানো,প্রিয়তমা,তোমাকে নিয়ে—
আমি দাপিয়ে বেড়িয়েছি,
সম্পূর্ণ এক সহস্রাব্দের সভ্যতা!
পারস্যসাগর পেড়িয়ে—
এরিদু,উর অতিক্রম করে,
তোমাকে নিয়ে,গিলগামেশের প্রকাণ্ড সভায়,
কিউনিফর্মে লেখা মহাকাব্য,চন্দ্রপঞ্জিকা আর গণিত পড়েছি।
উরুকের সেই রাত,ভোরের শীত,
জিগুরাতে প্রার্থনা,আর আমার ভালবাসার ইস্তাহার,
হয়তো তুমি দেখো নি।
কিন্তু আমি সেই শত-সহস্রাব্দে বেঁচে আছি,
প্রিয়তমা।