দুর্গন্ধটা ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে,
আমি কি নর্দমায়?নাকি এটাই আমার ঘর?
নাকি পঁচে যাচ্ছে শরীর?
এতো অসাড়তা কেন?
হৃদপিণ্ড এতোটা নিস্তব্ধ কেন?
কতদিন আকাশ দেখি না!
কিছুদিন ঘনঘন অটো রাইফেলের আওয়াজ
আর আর্তনাদ শুনেছি,
হৈ-হুল্লোড় শুনেছি,মিছিল শুনেছি,
আবার কান্না শুনেছি।
এখন আর শুনছি না কেন?
হৃদপিণ্ড এতোটা নিস্তব্ধ কেন?
শেষ ব্যাগটায় যেদিন লাশ ঢুকালো,
তার পরের শনিবার,
পাশের বাড়িতে ডাকাত এসেছিলো—
শুনেছি,সিন্ধুক খোলে নি।
শুধু রান্নাঘরে যেটুকু রসদ ছিল,
নিয়ে গেছে।
তারপর একদিন,গভীর রাতে
হঠাৎ আমাদের দরজা ভেঙে পড়লো!
আর কিছু জানি না।
শুধু,হৃদপিণ্ড ভীষণ নিস্তব্ধ!
তোমার সাথে দুটো বছর—
একটা ঘর,তোমার শরীর,
ঢেউয়ের সমুদ্র,আদিম উন্মাদনা!
ছোট্ট বেলকনি,কালো তারে ঝুলে থাকা
তোমার অন্তর্বাস,কিছু ফুলগাছ,
আর চেয়ার পেতে বসে
সন্ধ্যার গোধূলি থেকে রাতের তারা...
আর একটা বই,মোড়ক উন্মোচনের আগে,
তোমার হাতে,তৃতীয় পৃষ্ঠা খুলে,
তোমার অবাক হওয়া!
অসমাপ্ত রয়ে গেল।
এই অসাড়তা হয়তো মৃত্যু!
হয়তো কাল কেউ আসবে,
ফেলে দেবে আমার শরীর,
যদিও ওরা সমাহিত করা বলে।
অথবা—অথবা আসবে না।
আসবে না।
আসবে না।
কেউ আসবে না।
কেউ না।
যদি তুমি না আসো।