আমার নাম ক্ষত,
তীব্র যন্ত্রণাকে আমি নিঃশ্বাস বলি।
রক্তের রাজপথ,যাকে মহাবিশ্বের আকাশ থেকে বিছিন্ন এক ধমনী মনে হয়—সেই মরিচীকায় আমার জন্ম হয়েছে।
আমার জন্মে "প্রতারণা! প্রতারণা!" বলে চিৎকার করে উঠেছিল এক সচকিত আত্মা;
বুঝে নিয়েছিলাম,নিজেকে খুজে পাওয়ার নামই প্রতারণা!
তাই তার রক্তের ছুটে চলায় আমি বারবার মনে পড়ে যাই,আমার অস্তিত্ব ঐ আত্মার হৃদয়কে সজোরে করাঘাত করে যা থেকে সৃষ্টি হয় এক করুন আত্ম-চিৎকার...
আমার নাম ক্ষত,
এই মহাবিশ্বের প্রাণগুলোকে আমি ঘৃণা করি আর তারা ঘৃণা করে আমাকে,আমার জন্মই তাদের শোকদিবস আর তাদের নিরবতা আমার উচ্ছ্বাস!
পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থানের মাঝে তারা সহজেই আলিঙ্গন করে নেয় সেই আত্মার করুন কান্নাকে।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই সহমর্মিতা কেবল সে কান্নাকে দীর্ঘায়িত করে আর আমাকে করেছে আরও ঘৃণিত।
এই ঘৃণার মঞ্চের সামনে দাড়িয়ে আমি সে কান্না শুনেছি এক সুরচিত কবিতার মতো।
আমার নাম ক্ষত!
এই মহাকাশের কোন নভোচারী পাখি পাখা হারিয়ে আত্মহনন করে না,কোন পাতা শুকিয়ে যাওয়ার আগে ঝরে পরে না,কোন ঘ্রানহীন ফুল আত্মগ্লানিতে ঝুলে পড়ে না।
এক দলহীন কুৎসিত জানোয়াকে দেখেছিলাম বেঁচে থাকার যথযথ অন্ধকার খুঁজতে খুজতে মারা গিয়েছে।
বেঁচে থাকার আকাঙ্খা পর্যন্তই বেঁচে থাকা!
আমাদের সব আত্মা,যারা মূলত এখন পরাধীন—শেকলের কলমে সেলের দরজায় লিখে যাচ্ছে অভিযোগপত্র...
এমনই এক অভিযোগপত্র ঝুলে আছে এক ভুল দেয়ালে,যেখানে আমার নাম দেখা যাচ্ছে।
সমবেদনার বিপরীতে বেড়ে যাচ্ছে ঘৃণা।
আমার নিঃশ্বাস যন্ত্রণা হয়ে ফিরে আসে মৃত্যুর মতো,
আমার নাম ক্ষত!
আমার নাম ক্ষত!