স্বাধীনতার হাহাকার,       চারদিকে অন্ধকার,
            নেই তার প্রতিকার।  
কে আছে জাগবে?       নির্ঘুম থাকবে?
         আজ তার খুব দরকার।
ঐ দেখো চেয়ে,          রয়েছে তাকিয়ে,
     ফ্যালফ্যালিয়ে, আগামীর পথটা।
তার চোখে পানি,         হতাশার বাণী,
         কে ধরবে সে রথটা?
কার আছে হিম্মত,        করবে শপথ?
           পথটারে সমতল।
সরাবে প্রস্তর,            কাটবে দুস্তর,
         আছে কার বাহুবল?
কে আছে এমন,          পাহাড়ের মতন,
            হতে চাও উঁচু?
আছে কি কেউ,          উতলা ঢেউ,
              হটাবে পিছু?
করবে করাঘাত,          ভাঙবে কালো হাত,
        তুচ্ছ করে জীবনের মায়া।
তার ভয়ে ছুটবে,          সব লয়ে পালাবে,
        গুচ্ছাকারে কালো ছায়া।
মরুভূমির বুকে,          কে দিবে এঁকে,
        অবিরাম জলের ধারা?
মুনাফিকের মতন,         যত মরীচিকা এমন,
              করবে ধরা ছাড়া?
তার রুদ্রমূর্তি আভা,       আগ্নেয়গিরির লাভা,
       টগবগিয়ে, পড়াবে মারণ মন্ত্র!
তার উত্তপ্ত খুন,           ধরাবে আগুন,
       দগদগিয়ে বিকল শিকল যন্ত্র!
তার হুংকার,             দিবে ঝংকার,
           কাঁপবে যত বাতিলের দল।
মুছে দিবে সব গ্লানি,     আছে যত রাহাজানি,
         পিষে দিবে পাপের মহল।
দেখবে যত বিষ ফোঁড়া,    ধ্বংসিবে সমূলে গোড়া,
              হবে মিথ্যার ত্রাস।
একটি জোনাকি,          আজ পাবো কি?
          করবে ফেরাউনের গ্রাস।
নেই, কেউ নেই?!           কারো বুকে রক্ত নেই?
            সব কি জ্যান্ত লাশ?
জাগাচ্ছে দেখো যন্ত্রণা,     দিচ্ছে দেখো মন্ত্রণা,
          ফিসফিসিয়ে গন্ধ বাতাস।
শুনো সেই মন্ত্রণা,          কর রণ বন্দনা,
       শির উচিয়ে জাগো একটিবার।
হবে তোমার জয়,          আর নয় ক্ষয়,
          সব ভয় কর চুরমার।