দুইখানা মুরগী পরম সুখে খোয়ারে রাতভর ঘুমায়,
দিনের বেলা এথায় সেথায় খায় শুধু আর ঝিমায়।
একখানা তাদের ডিম দিবে বলে সারা ঘর তুলেছে মাতিয়ে।
ডিম পারা শেষে মালিক তাকে তাঁ দিতে দিলো বসিয়ে।
দিনরাত শুধু তাঁ দিয়ে দিয়ে ডিমগুলো সে ফুটালো।
পালকের নিচে জাপটে রেখে কাক-চিল সব তাড়ালো।
একদিন সেই বাচ্চারা সব ঝাপ দিলো এক পুকুরে!
সেও ঝাপ দিয়ে তাদের নিয়ে, উঠতে চাইলো পারে।
বাচ্চারা সব প্যাঁক প্যাঁক করে নিলো হাসের পিছু!
মিছে ছিলো বুঝি এতোদিন যা করেছে সবকিছু?!
ক্ষত মন নিয়ে কাঁপতে কাঁপতে যেই না এলো বাড়ি,
কুটুমের তরে তার জীবনটা নিলো যে মালিক কাঁড়ি।
বাকি যেটা ছিলো তার ঝিমুনি কমে নাই একটুকু!
কয়েকটি বাড়ি দিলে পারি বন-বাহারি জানে নাই এইটুকু!
এক জোড়া বলদ লাঙ্গল টেনে দিচ্ছে মাঠে চাষ।
থামলেই তার পিঠেতে হয় কাক-শালিকের বাস!
মাথা নুয়ে ঘাস চিবিয়ে কেটে যায় তাদের বেলা।
বসে আর শুয়ে লেজ নাড়িয়ে জাবর কাটে সারাবেলা।
কাক শালিকের ঠুকরে ঠুকরে সারা শরীরে ঘাঁ।
দিন কেটে যায় পরম সুখেতে দেখেও দেখে না তা!
একটা ষাঁড় দড়ি ছিঁড়ে ঐ বনেতে হয়েছে নিখোঁজ।
বলদরা সব সান্ত্বনা দেয়, শক্তি নাই, আমরাতো অবুঝ!