এক বিকেলে এই শহরে,
মনের খেয়ালে এসেছি ঘুরে।
দেখেছি সেথায়,
হিমশীতলতায়,
ঘুমিয়ে আছে,
অতৃপ্ত মানবতা।
কাঁচের বয়ামে দেখেছি,
বন্ধি সততা।
এই বিকেলেও
দাবানল জ্বলে,
শহরের ছোট্ট বস্তিটাও
ধ্বংসের খেলা খেলে।
ঘরের কোণে দাড়িয়ে,
একঘেয়ে হেসে,
এক অবুঝ বালক,
চেয়ে রয় নিস্পলক।
দেখে পুড়ে যাওয়া অবশেষ,
দেখে অন্য পুরুষের হাতে
তার সবকিছুর শেষ।
একটু এগিয়ে শুনি,
বন্ধ দরজার ওপাশ থেকে
বালিকার রাহাজানি।
তার উপর পড়েছে
শকুনের হাতছানি।
দরজা খোলার পর,
তাকে দেখি খাটের একটু উপর,
পায়ের পাতা জোড়া শূন্যে ভাসে।
মাথাটা নেতিয়ে মানবতার ফাঁসে।
তার নিরব চিৎকার,
ব্যর্থ হয় আরেকবার,
ফিরিয়ে দেয় হাহাকার।
তার বাবার নীরবতা,
বলে অনেক কথা।
বলে শকুনের বিজয় উল্লাসের কথা।
বলে পাশের বাড়ির রহিমের মেয়ের কথা।
হয়তো বলছে এটাই স্বাধীনতার বাস্তবতা।
সন্ধ্যার লগ্নে,
এক উদ্যানে,
মিথ্যা প্রেমের আগুনে,
মেয়েটা পুড়ছে জীবনে।
একটা গলিতে দেখি,
ফাঁসির আসামি রকি,
নতুন খুনের চুক্তিতে,
এক বিশিষ্ট জন টাকা দিচ্ছে ভক্তিতে।
কেন্দ্রীয় কারাগারে একি!
ছদ্মবেশী সালামই রকি!
মস্ত বড় অট্টালিকার পাশে,
পথশিশুর ছাদ মিশেছে আকাশে।
ডাস্টবিনে পাওয়া মেয়েটি,
জানেনা আত্মপরিচয়।
নিঃসন্তান দম্পতির কান্না,
বারবারই ব্যর্থ হয়।
তিন সন্তানের জনক দারোয়ানটা,
নিশ্চিন্তে বাড়ি পাহারা দিয়েছে।
তার সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা নেই,
হঠাৎ একদিন জেনেছে।
মাঝরাতে দেখি একটা পাগল ডুকরে ডুকরে কাঁদছে।
পিচঢালা পথে ইট দিয়ে তাঁর হৃৎপিন্ডটা আঁকছে।