হে নারী,
নিয়ত বিশ্বজয়ী
নিয়ত মমতাময়ী
পুরুষেরা তোমার জন্য,
আর কত যাতনা স-ই?
প্রথম সৃষ্টি তুমি
হয়েছ দেহের বিচ্ছেদে,
করেছ স্বর্গহারা
নামিয়েছ এই মর্ত্যে।
নারী তুমি,
দেহের অতল কামনা
মনের বিফল বাসনা
যুগান্তরের সাধনা
পুরুষের,
নারী তুমি,
প্রেরণা চিরজীবনের।
নারী তুমি,
মাতাল করতে আসো
মদিরার মতো,
কখনো রঙীন, কখনো রঙহীন,
রূপ যে তোমার কত!
তাজমহল হয়েছে সৃষ্টি,
ট্রয় হয়েছে ধ্বংস,
নারী তুমি,
কখনো জগতের শোভা,
কখনো দোকানের পণ্য।
নারী তুমি,
বিষের বাঁশির সুরে
চিরকাল ধরে,
পৃথিবীর পরে,
নাচাও পুরুষেরে,
নারী,
এত রহস্য তোমার ভেতরে?
কখনো ফুল হয়ে সুবাস ছড়াও,
কখনো কাঁটা হয়ে রক্ত ঝরাও,
কখনো অবহেলা, কখনো আদর,
নারী তুমি,
পুরুষের বিছানা,
কখনো গায়ের চাদর।
নারী,
চরণ থেকে ধীরে ধীরে
মাথায় তোলে,
কামনার সীমাহীন পথে,
পুরুষেরে ক্লান্ত করে ফেলে।
যুগ যুগ ধরে, যুদ্ধ করে,
পুরুষ করেছে শক্তি সঞ্চয়,
বুকের মমতা, ভুলানো কথা দিয়ে,
নারী করেছে তার ক্ষয়।
নারীকে বুঝতে চাওয়া
কূলহীন সাগরে ভাসা,
যে নারীকে বুঝেছে
হয়নি ফিরে তার আসা।
পুরুষ,
নারীর জন্য গড়ে, নারীর জন্য মরে,
করে ত্যাগ সীমাহীন,
নারীর জন্য তা,
ব্যর্থ হয় না কোনদিন।
নারীকে জয় করবার
বাসনা কমেছে কবে?
নারী,দিল্লী কা লাড্ডু
পেলেও পস্তাবে, না পেলেও পস্তাবে।
তবুও ক্ষণস্থায়ী জীবনে,
মানুষের ছুটে চলা,
হয়নি বৃথা,
নারী আছে তাই,
জগতের স্বার্থকতা।
সমাপ্ত